উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও গুণিজনরা। গত বছর বইমেলায় প্রায় ২৭ লক্ষ বইপ্রেমী অংশ নিয়েছিলেন, বই বিক্রির পরিমাণ ছাড়িয়েছিল ২৩ কোটি টাকা। এই সাফল্যে যেমন আয়োজকরা উচ্ছ্বসিত, তেমনি উদ্বিগ্নও, কারণ এবারে বহু নতুন প্রকাশক স্টল নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে সূত্রের খবর, জায়গা না বাড়ায় নতুন স্টল বরাদ্দ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।
advertisement
এবারই প্রথমবার থিম দেশ হিসেবে অংশ নিচ্ছে আর্জেন্টিনা। ভারতের তথা বাংলার সঙ্গে আর্জেন্টিনার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গভীর বলে জানান হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আর্জেন্টিনার দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। তাঁদের উপস্থিতি দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় করবে বলেই আশা আয়োজকদের। ২০২৭ সালে কলকাতা বইমেলা উদযাপন করবে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। সেই উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে ময়দানে আয়োজিত বইমেলার পুরনো আলোকচিত্র নিয়ে হবে প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী। সেরা দশ আলোকচিত্রকে পুরস্কৃত করা হবে এবং নির্বাচিত ছবিগুলি প্রকাশিত হবে ২০২৭ সালের স্মারক সংকলনে। আগামী ২০২৬ সালের বইমেলায় অংশ নিতে চলেছে একাধিক দেশ- গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, পেরু, কলম্বিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড এবং লাতিন আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ।
পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্য— দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গুজরাট, বিহার, অসম, উড়িষ্যা ও ত্রিপুরার প্রকাশকরাও নিয়মমতো অংশ নেবেন। বইমেলায় থাকবে যথারীতি লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন, চিলড্রেনস প্যাভিলিয়ন এবং প্রতিদিনের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা বইপ্রেমীদের উৎসবকে করে তুলবে আরও বর্ণময়। সঙ্গে অবশ্যই থাকবে ভুরি ভোজের ব্যবস্থাও।
Rudra Narayan Roy






