চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত সদ্যোজাতদের ওজন থাকে আড়াই থেকে তিন কেজির মধ্যে। কিন্তু এতটা অপরিণত সদ্যোজাতকে বাঁচানো যে কোনও হাসপাতালের কাছেই চ্যালেঞ্জ। এবার সেই অসাধ্য সাধনই করল বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। প্রায় ৭০ দিন ওই সদ্যোজাতকে এসএনসিইউতে ভর্তি রেখে চিকিৎসার পর স্বাভাবিক অবস্থায় এনে তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। হাসপাতালের এই পরিষেবায় খুশি মা রুবিনা খাতুন ও বাবা নওয়াজ শরিফ। খুশির দিনে হাসপাতালে চলল মিষ্টিমুখের পালা।
advertisement
আমডাঙার সোনাডাঙা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি বছর একুশের রুবিনা খাতুনের। এরআগে তাঁর দু’টি বাচ্চাই গর্ভস্থ অবস্থায় মারা গিয়েছে। মানসিক বিপর্যয় কাটিয়ে তৃতীয়বার সন্তানসম্ভবা হন তিনি। বারাসাত হাসপাতালে নর্মাল ডেলিভারি হয়েছিল তার। কিন্তু বিপত্তি ঘটে সন্তান প্রসবের পর। দেখা যায় পুত্র সন্তান প্রসব করলেও, তার ওজন সর্বসাকুল্য ৮০০ গ্রাম। চিকিৎসকদের পরিভাষায় অপরিণত প্রসব। চিকিৎসকরা বলেন, প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল একটা ছোট মাংসপিণ্ড। চোখ, নাক, কান কিছুই তেমন গঠন হয়নি। ফুসফুস সহ অন্যান্য অঙ্গের বিকাশও ঘটেনি।
যদিও এই সব ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে রেফার করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ওই সদ্যজাতর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালের এসএনসিইউতে রেখে ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এভাবে মৃত্যুকে জয় করা সন্তানের নাম রেখেছেন আয়াত শরিফ। ঘটনায় খুশি হাসপাতালের ডাক্তার থেকে নার্স স্বাস্থ্য কর্মী এমনকি সদ্যজাতর পরিবারসহ প্রতিবেশীরাও।
Rudra Narayan Roy