ভগবানগোলার শ্যামপুর গ্রামে পালকিতে করে বিয়ের আয়োজন চলল যা দেখতে ভিড় জমালেন বহু মানুষ। রীতি মেনে আয়োজন করা হয়েছিল ছাদনা তলারও। এলাকার যুবকরা মহা ধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিলেন। তবে শুধু বিয়েই নয়, চলে ২৫০ জনকে খাওয়ানো হয় ভোজ। আর ব্যাঙের বিয়ে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষজন।
advertisement
জনশ্রুতি রয়েছে ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়। আর সেই কারণেই গ্রামের যুবকরা অভিনব ভাবে এই বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। বিয়েকে ঘিরে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল জোরদার। বৃষ্টির আশায় প্রতিবছরই ব্যাঙের বিয়ে দেখতে পাওয়া যায় বাংলার বিভিন্ন জেলায়। খরা থেকে রেহাই পেতে বাংলা-সহ গোটা দেশে একসময়ে এই রীতি ছিল বহুল প্রচলিত।
জানা গিয়েছে, রীতি অনুযায়ী বিয়ের জন্য ছায়ামণ্ডপ, পুষ্পমাল্য, গায়ে হলুদ, আশীর্বাদের ধান-দূর্বা, সাত পাক ঘোরা, সিঁদুর দান, মন্ত্র পাঠ, শঙ্খের ধ্বনি, খাওয়াদাওয়া, নাচ গান প্রায় সবকিছুর নিয়ম ছিল এই বিয়েতে। আমন্ত্রিতরা নবদম্পতিকে উপহার হিসেবে দান করেছেন নগদ অর্থও। একসময়ের বহুল প্রচলিত এই রীতি আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারায় ‘সংস্কার-কুসংস্কারের’ বেড়াজালে অনেকটাই কমে এসেছে এই রেওয়াজ। কিন্তু তীব্র দাবদাহ থেকে মাঠের ফসলকে বাঁচাতে প্রাচীন বিশ্বাসে ভর করেই মুক্তি পেতে চাইছেন মুর্শিদাবাদবাসী।
কৌশিক অধিকারী