একদিকে শুল্ক বাণে আমেরিকায় চিংড়ি রফতানি বন্ধ, অন্যদিকে স্থানীয় মেছো ভেড়িতে লাগাতার চিংড়ির মড়কে দিশেহারা মাছ চাষিরা। যারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চিংড়ির চাষ করেছিলেন তাঁদের মাথায় হাত পড়ছে।
চিংড়ি না আসায় অসুবিধা হচ্ছে বিস্তর। এমন কথা জানিয়েছেন আশিক পুরকাইত। তাঁর চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে বাইরে পাঠানোর একটি ফ্যাক্টরি আছে। তিনি এই ঘটনায় বিমর্ষ। পরিস্থিতি এরকম চলতে থাকলে বছরখানেকের মধ্যে অন্য পেশায় যেতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
একদিকে চিংড়ি কারখানায় শ্রমিকের কাজ চলে যাওয়ায় অনেকেই আবার পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ফিরেছেন। এই কথা জানিয়েছেন এক শ্রমিক ইলিয়াস পুরকাইত। অপরদিকে ফিশারিতে বাগদা ও ভেনামি চিংড়ি মরে ভেড়ির জলে ভেসে উঠছে। ভেড়ির কর্মীদের দাবি, যত মাছ জলের উপরে ভাসছে তার থেকে বেশি মাছ জলের নীচে মরে পচে ডুবে আছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আমেরিকা চিংড়ির উপরে পঞ্চাশ শতাংশ শুল্ক চাপানোয় চিংড়ি রফতানি প্রায় বন্ধ। অল্প দামে দেশের লোকের কাছে মাছ বিক্রি করা হবে সে উপায়ও নেই। এখন যা পরিস্থিতি তাতে চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়াও সমস্যা। ফলে মাছ চাষি ও মাছ ব্যবসায়ী দু’পক্ষেরই লোকসানের বহর বাড়ছে। সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে এই ব্যবসা পুরো মাঠে মারা যাবে। এখন দেখার ভবিষ্যতে কী হয়।





