আরও পড়ুন: প্যারা অ্যাথলিটকে হুইলচেয়ার কিনে দিতে নিজের শখের বাইক বিক্রি করলেন বিধায়ক!
শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রক্ষা কালীমাতার পুজোয় দশ হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়। নদিয়া জেলার শেষ প্রান্ত শান্তিপুর শহরের শেষ সীমানায় ভাগীরথীর তীর সংলগ্ন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে গুপ্তিপাড়া ঘাটে যাওয়ার রাস্তা। জলপথ পেরিয়ে হুগলি তো বটেই, এমনকি কলকাতা যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। সেই রাস্তার পাশে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাড়ার বাচ্চা থেকে বয়স্ক মহিলারা সকলেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিতরণ করলেন প্রসাদ। এমনকি ট্রলি ভ্যানে করে প্রসাদ নিয়ে গিয়ে লঞ্চ, ভেসেল, নৌকা ভর্তি যাত্রীদের মধ্যেও তা বিলি করা হল।
advertisement
১৯৫৩ সাল থেকে সূত্রাগর চর এলাকায় রক্ষাকালী পুজো হয়ে আসছে। ওই এলাকারই বাসিন্দা দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর বিকাশ চন্দ্র সাহা এখানে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেন। তারপর থেকে ক্রমশ মন্দিরের উন্নয়ন হয়ে চলেছে প্রতিবছর। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় বাৎসরিক পুজো হয় মায়ের। সেই উপলক্ষে গতকাল এলাকায় সকলে রান্না না করে উপোস থেকে রাতে পুজো দেন। এরপর প্রসাদ হিসেবে লুচি, সন্দেশ, মন্ডা, মিঠাই প্রায় দুই হাজার ভক্ত বৃন্দের মধ্যে বুধবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত বিতরণ করা হয়। তারমধ্যেই আজ ভোর হতেই ৫০ জন রাঁধুনি হিসেবে কাজে লেগে পড়েন। ২৪ টি গ্যাস ওভেন ধরিয়ে সুবিশাল আকৃতির কড়াইতে খিচুড়ি, ফুলকপির তরকারি এবং পায়েস রান্না হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ট্রলি করে সেই ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয় আশেপাশের সমস্ত পড়ায়। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং রক্ষাকালী মাতা পূজো কমিটির প্রধান উদ্যোক্তা বিকাশ চন্দ্র সাহা জানান, দুপুর ১ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত প্রসাদ বিতরণ চলে। এলাকাবাসী দলমত নির্বিশেষে সকলে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করে তুলেছেন।
মৈনাক দেবনাথ