প্রকাশ কারাত বলেন কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে বামপন্থীদের আরও শক্তিশালী হতে হবে কিন্তু এ রাজ্যে ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর থেকে দেশের অন্যত্র বামপন্থীদের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে তাই এ রাজ্যে ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি সচেষ্ট হওয়া জরুরি।
advertisement
তিনি বলেন,বিজেপি ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যে তারা ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। বিজেপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা অন্য একটি সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের হয়ে কাজ করে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বিজেপির মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে চাইছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সবসময় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করা হচ্ছে। এই চিত্র দেখা যাচ্ছে গুজরাত, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্য। অনেক অনেক ক্ষেত্রে হিন্দুত্বকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক চরিত্র বদল করতে চাইছে তারা। সেই লক্ষ্যেই দ্রুততার সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে বদল আনা হচ্ছে। কৌশলে ভারতীয় সংস্কৃতির গেরুয়াকরণ করা হচ্ছে। সব ক্ষেত্রে হিন্দুত্বকে প্রমোট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১০২ শূন্যপদ এসএসসি নবম-দশমে! নিয়োগ হয়নি কেন? ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
তিনি বলেন, শুধুমাত্র সব ধর্মের স্বাধীন সত্ত্বা বজায় রাখার জন্যই ধর্মনিরপেক্ষতা জরুরি তা নয়, এ দেশের শ্রমিক মজুর-সহ খেটে খাওয়া সব মানুষের অস্তিত্বের স্বার্থেই ধর্মনিরপেক্ষতা জরুরি। কিন্তু সেই ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলে আঘাত হানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি ও তাদের হিন্দুত্ব নীতি।মুখে হিন্দুত্বের কথা বললেও এই দল যে আসলে পুঁজিপতিদের দল তা যত দেশের খেটে খাওয়া মানুষকে বোঝাতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রসঙ্গে কারাত বলেন, সাধারণ মানুষের মতামতকে কোনও রকম গুরুত্ব না দিয়ে এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার চলছে। বারে বারে তাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। দেশের সামনে যেমন বিজেপি একটা বড় বিপদ, আরএসএস একটা বড় বিপদ, ঠিক তেমনই এ রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দুজনেই ক্ষতিকারক। বিজেপি যেমন সন্ত্রাস তৈরি করে ত্রিপুরাতে ভোট লুট করেছে, ঠিক একই কায়দায় তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যে ভোট লুট করে আসছে।
তিনি বলেন, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের একত্রিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তার জেনে কৃষক আন্দোলন ঐতিহাসিক রূপ পেয়েছে। ওই আন্দোলনের সঙ্গে কৃষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলি যুক্ত হয়েছিল।সব রাজ্যে বিরোধীরা এক হলে খুব সহজেই সাফল্য পাওয়া যায়। কিন্তু এক এক রাজ্যের চরিত্র আলাদা। সেখানের ইস্যুও আলাদা। তাই সব দল একত্রিত হতে পারলেও যত সম্ভব বেশি দলকে একত্রিত করতে হবে। এ ব্যাপারে বাম গণতান্ত্রিক দলগুলিকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।