TRENDING:

বাপ-ঠাকুরদার আমলের ঐতিহ্য টিকবে তো? মাটি নিয়ে কড়াকড়ি আঁধার ডেকে এনেছে

Last Updated:

মৃৎশিল্পীদের প্রধান ভরসা এঁটেল মাটি। নদী থেকে সেই মাটি আনতে গিয়েই পড়তে হচ্ছে আইনি জটিলতায়। সরকারি ছাড়পত্র না থাকায় সরাসরি নদী থেকে মাটি তুলতে পারছেন না মৃৎশিল্পীরা। ফলে গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়ে ঘুরপথে মাটি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগণা, জুলফিকার মোল্যা: আদৌ ঐতিহ্য রক্ষা করা যাবে? সঙ্কটে পড়ে হন্যে হয়ে এই উত্তর খুঁজছেন বসিরহাটের মৃৎশিল্পীরা। উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট-১ ব্লকের সংগ্রামপুর-শিবহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারডাঙা গ্রামে প্রায় একশো জন কুমোর তথা মৃৎশিল্পী বসবাস করেন। বংশপরম্পরায় তাঁরা তৈরি করে আসছেন মাটির হাঁড়ি, কলসি, প্রদীপ, ঘট থেকে শুরু করে মণ্ডপসজ্জার টব। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার বহু পুরনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য।
advertisement

কিন্তু আজ সেই শিল্পই টিকে থাকার লড়াই লড়ছে। মৃৎশিল্পীদের প্রধান ভরসা এঁটেল মাটি। নদী থেকে সেই মাটি আনতে গিয়েই পড়তে হচ্ছে আইনি জটিলতায়। সরকারি ছাড়পত্র না থাকায় সরাসরি নদী থেকে মাটি তুলতে পারছেন না মৃৎশিল্পীরা। ফলে গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়ে ঘুরপথে মাটি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এক ভ্যান মাটির দামই পড়ছে প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। ফলে মাটির শিল্পকর্মের খরচ আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা।

advertisement

আরও পড়ুন: তড়কার সঙ্গে জড়িয়ে ২৩০০ বছরের ইতিহাস! পলসন্ডার এই পাঞ্জাবি দোকানেরটা চেখে না দেখলে মিস করবেন

এই প্রসঙ্গে প্রবীণ মৃৎশিল্পী শম্ভু পাল বলেন, এমনিতেই নদী থেকে মাটি আনতে গেলে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। সরকারি ছাড়পত্র না থাকায় আমাদের স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে মাটি কিনতে হচ্ছে। সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, না হলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। কামারডাঙার কুমোরদের আশা, শেষ পর্যন্ত সরকার নিশ্চয়ই কিছু একটা করবে।

advertisement

আরও পড়ুন: গণেশ পুজোয় অপারেশন সিঁদুর! সিদ্ধিদাতার টানে জনজোয়ার

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

এই সঙ্কটে পড়ে ইতিমধ্যেই অনেক পরিবার পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছে, ফলে কমে যাচ্ছে কর্মসংস্থানও। দুর্গাপুজো কিংবা উৎসবের সময় কিছুটা চাহিদা বাড়লেও বছরের বাকি সময় অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটে। শিল্পীরা বলছেন, যদি কাঁচামালের সমস্যা মেটে এবং সহজে ঋণ বা সরকারি ভর্তুকি মেলে, তবে নতুন প্রজন্মও এই পেশায় আসতে আগ্রহী হবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বাপ-ঠাকুরদার আমলের ঐতিহ্য টিকবে তো? মাটি নিয়ে কড়াকড়ি আঁধার ডেকে এনেছে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল