অনেক চাষিই মোটা টাকা খরচ করে জমি ভাগে নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন। অনেকের আবার মহাজনের কাছে আলু বীজ, সারের দাম বাকি পড়ে রয়েছে। তাঁরা বলছেন, " আলু হিমঘরে মজুত করার সামর্থ্য নেই অনেকেরই। জমি থেকেই আলু বিক্রি করে ধার দেনা শোধ করার কথা ভাবতে হচ্ছে অনেককেই। তাই আলুর দাম না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। লোকসান হবে বুঝেও আলুর অভাবি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ছোট চাষিদের অনেককেই।"
advertisement
রাজ্যে অন্যতম আলু উৎপাদক জেলা পূর্ব বর্ধমান। এই জেলায় প্রায় ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। বেশির ভাগ চাষি জমিতে জ্যোতি আলু চাষ করেন । কৃষি দফতরের হিসাবে, এ বার প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। বেশ কয়েক বছর পরে এ বার আলু চাষের গোটা মরসুম জুড়ে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেনি। ঠান্ডা ও ঝলমলে আবহাওয়ায় আলু গাছে বিশেষ রোগপোকাও দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকের থেকে ফলন বাড়বে বলে চাষিদের অনেকেই আশা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের দাবি, প্রত্যাশা মতো ফলন মেলেনি। বিঘা প্রতি জমিতে ফলন মেলে ৮০- ৯০ বস্তা। কালনা, মেমারি, জামালপুরের মতো কিছু এলাকায় ফলন আরো বেশি মেলে। এ বার সেখানে কোথাও ৬০-৬৫ বস্তা ফলন মিলছে বলে অভিযোগ।
