গত শুক্র ও শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে জলের তলায় চলে গিয়েছে বিস্তীর্ণ আলু জমি। আলু তোলার আগেই ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির মুখে পড়েছে শস্যের গোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের আলুচাষিরা। ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে মাঠের মধ্যেই পচে যাচ্ছে আলু। তার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর-সহ একাধিক ব্লকের আলুচাষিরা। জামালপুর ব্লকের জোতশ্রীরাম , পর্বতপুর, শিয়ালি, কোড়া ,জারগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। কৃষকরা বলছেন, যেভাবে শিলাবৃষ্টি ও মুষলধারে বৃষ্টিতে মাঠের আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে বেশিরভাগ আলু পচে যাবে। চড়া দামে বীজ কিনে চাষ করা হয়েছিল। চড়া দামের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এখন দেনা শোধ করার টাকাটাও উঠে আসবে না।
advertisement
তার মাঝেই বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আলু জমি পরিদর্শন করল কৃষি দফতর। পূর্ব বর্ধমানের রায়না ও জামালপুরের কৃষিজমিগুলি পরিদর্শন করেন দফতরের আধিকারিকরা। এখনও এই সব এলাকার অনেক আলু জমিতেই জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই আলুতে পচন দেখা দিয়েছে। জল দাঁড়িয়ে থাকা জমির সব আলুই পচে যাবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। কৃষি দফতরের আধিকারিকদের কাছে ক্ষতিপূরণের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। দু’দিনের বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কৃষি দফতরের আধিকারিকদের এই পরিদর্শন। হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে শিলাবৃষ্টি ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে আলু জমিতে এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন হয়ে থাকায় চাষিদের পক্ষ থেকে জল ছেঁচে জল বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তার পরও আলু ব্যাপক পরিমাণে পচে যাওয়াতে সমস্যায় পড়েছে ওই এলাকার চাষিরা।
আরও পড়ুন : কলকাতায় ফের পথের বলি, এক্সাইড মোড়ে দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ হারালেন বরাহনগরের মহিলা
জামালপুর ব্লকের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব দাস বলেন, ‘‘আমরা জামালপুর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের এলাকাগুলি পরিদর্শন করলাম। সব জায়গাতেই অতি ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে কমবেশি ভালই ক্ষতি হয়েছে। আমরা সমস্ত তথ্য ওপর মহলে পাঠাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নিশ্চয়ই সরকারি সাহায্য পাবেন।’’