এ বার পুজোর পর আলুর দাম ক্রমশ কমতে থাকলেও প্রথম দিকে ভালই দাম পেয়েছিলেন কৃষকরা। সাতশো আটশো টাকা বস্তা পর্যন্ত আলুর দাম উঠেছিল। বেশিরভাগ ছোট বা মাঝারি চাষি তখন আলু বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এবারও প্রথমদিকে আলুর দাম মিলবে এই আশায় আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। কিন্তু বাধ সাধতে পারে বিরূপ আবহাওয়া।
advertisement
চাষের জন্য চাই মেঘমুক্ত পরিবেশ। রোদ ঝলমলে দিন ও জাঁকিয়ে ঠান্ডা আলু চাষের পক্ষে অনুকূল। এতে আলু গাছ খুব সুন্দর বাড়ে। আলুর ফলন ভাল হয়। কিন্তু এবার সেভাবে বৃষ্টি না হলেও জাঁকিয়ে শীতের দেখা নাই এখনও। সেই সঙ্গে মেঘলা আবহাওয়া থাকছে দিনের পর দিন। মাঝেমধ্যে কুয়াশায় ভরে উঠছে চারপাশ। এর ফলে আলু গাছে ধসা রোগের আক্রমণের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন : তেল দিয়েই উঠবে তেলমশলার দাগ? জানুন তেলচিটে বাসন ঝকঝকে করার ঘরোয়া টোটকা
শীত মানেই কুয়াশার দাপট। কুয়াশা কাটতে বেলা গড়িয়ে যায়। সেই কুয়াশায় ব্যাপক ক্ষতি করে আলু চাষে। এর ফলে আলুর গাছের পাতা অনেক সময় কুঁকড়ে যায়। শেষে শুকিয়ে যায় গোটা গাছ। ঠিক যেন ঝলসানো গাছের মতো দেখতে হয়ে যায়। শেষে আলুর গাছ মারা যায়।
কৃষকরা বলছেন,কুয়াশার হাত থেকে বাঁচাতে ডাইসেন এম ৪৫ এবং বায়োডেক্স পাউডার দিয়ে চাষ করা হয়েছে। এই পাউডারটির দাম ৪০০ টাকা কেজি। এক কেজি পাঁচ বিঘা জমিতে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন : হাত, পা বা গোপনাঙ্গে ছত্রাক সংক্রমণে নাজেহাল শীতে? সমস্যা সমাধানে এই ঘরোয়া জিনিস কাজ করে জাদুর মতো
কৃষিবিদদের মতে, আলুর বিপদ নিয়ে আসে ধসা রোগ লেইট ব্লাইট। ঘন কুয়াশা পড়লে এই রোগের আক্রমণ হতে পারে। নিয়ম মানলে এই ধসা থেকে আলুগাছ রক্ষা করা যায়। ধসা রোগে আক্রান্ত হলে আলু গাছে বর্দোমিক্সচার অথবা ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম করে মিশিয়ে সাত দিন পরপর ছেটাতে হবে। এ ছাড়া এই রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত গাছটি তুলে মাটিচাপা কিংবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। জমিতে জল সেচ বন্ধ রাখতে হবে।