পূর্ব বর্ধমান জেলাকে শস্যভাণ্ডার' বলা হয়। ব্যাপক পরিমাণে চাষ হয় আলুর। রাজ্যের মধ্যে এই জেলার আলু উৎপাদনের অন্যতম। সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয়ে থাকে। গত বছর বৃষ্টির কারণে দু'বার করে বীজ রোপণ করতে হয়েছিল চাষিদের। যে কারণে আলু চাষ করে অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এ বার শীতের সঙ্গে রোদের দেখা মেলায় আলুর ভাল ফলন হবে বলে মনে করছিলেন চাষিরা। কিন্তু ফের বাধ সেধেছে আবহাওয়া।
advertisement
আরও পড়ুন : অনাথ হাতি রঘুর সঙ্গে তার মানুষ-দোসরদের সম্পর্কেই বাজিমাত! অস্কারের মঞ্চে এ বার 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স
সাধারণত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যে আবহাওয়া থাকে এখন তেমন অনুভূত হচ্ছে। মাঘ মাসে জাঁকিয়ে শীত থাকে। মার্চ মাসের গোড়া পর্যন্ত সেভাবে গরম পড়ে না। সেখানে দেখা যাচ্ছে জানুয়ারির শেষেই শীত এক রকম উধাও হয়ে গিয়েছে। এই আবহাওয়া চলতে থাকলে ফলন ব্যাহত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাঁদের বক্তব্য, এখনও এক মাসেরও বেশি সময় আলু গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই আবহাওয়া রোগ পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া শীত না থাকলে গাছ বাঁচিয়ে রাখা যেমন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে তেমনি আলুর বৃদ্ধিও ব্যাহত হবে। এই আবহাওয়ার বদল ঘটে ফের শীত আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন : তাঁর বাহন দু’ চাকাতেই দূর দূরান্তে পাড়ি দেন ৮০ বছরের সুপারফিট এই সাইকেলম্যান
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২০২১- ২২ অর্থবর্ষে ৬৬ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। প্রায় ১৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩০১ মেট্রিক টন আলুর ফলন হয়েছিল। গত বছর হেক্টর প্রতি গড়ে ২৩ মেট্রিক টন আলুর ফলন হয়েছিল। অন্যান্যবার ৩২-৩৫ মেট্রিক টন ফলন হয়ে থাকে। গত বছর আলুর বীজ লাগানোর পর টানা বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে প্রথম বার লাগানো বীজ নষ্ট হয়ে যায়। ফের চাষ করতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। যে কারণে গতবার আলুর ফলন তেমন হয়নি। তবে এ বছর আবহাওয়া ভাল ছিল। তাই ফলনও ভাল হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন এই গরম আবহাওয়া চিন্তায় ফেলেছে।