গত মরসুমে বেশি মাত্রায় উৎপাদন-সহ বিভিন্ন কারণং চলতি বছর আলুর দাম সে হারে বৃদ্ধি পায়নি। খোলা বাজারে জ্যোতি আলু ১৭ টাকা প্রতি কিলো দরে বিক্রি হলেও হিমঘরের দরজায় পাইকারি আলুর দর ১০ টাকা প্রতি কিলোর মধ্যেই বছরভর সীমাবদ্ধ রয়েছে। ফলে মোটা অঙ্কের হিমঘর ভাড়া দিয়ে আলু সংরক্ষণ করে এবার সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পাননি আলু চাষি ও সংরক্ষণকারীরা। বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় এখনও অনেক চাষি ও সংরক্ষণকারী তাঁদের আলু হিমঘরে মজুত রেখেছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অত্যন্ত সঙ্কটজনক খালেদা জিয়া, রয়েছেন লাইফ সাপোর্টে! বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘আর কিছু বলার নেই’!
সরকারি হিসাবে এখনও রাজ্যের হিমঘরগুলিতে মোট সংরক্ষিত আলুর ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ মজুত রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর খালি করে দিতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই সংরক্ষিত এই ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ আলু নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন চাষি ও সংরক্ষণকারীরা। তবে মেয়াদ শেষের আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের হিমঘর গুলিতে আলু সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩১ ডিসেম্বর করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে চাষিদের মধ্যে।
তবে, সরকারি ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে বাড়তি এই একমাস আলু সংরক্ষণের জন্য আনুপাতিক হারে বস্তা পিছু চাষি ও সংরক্ষণকারীদের গুনতে হবে ১০ টাকা ১১ পয়সা হিমঘর ভাড়া। এতেই লোকসানের বহর বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন আলু চাষি ও সংরক্ষণকারীরা। তাঁদের দাবি এবছর আলুর দাম সেভাবে না ওঠায় বস্তা পিছু ৯৭ টাকা হিমঘর ভাড়া দিয়ে লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে। এরপর ফের হিমঘর ভাড়া বৃদ্ধি করায় সেই লোকসানের বহর আরও বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।






