স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কে বা কারা পোস্টার মেরেছে জানি না। তবে ভোটের সময় এলাকায় কাউন্সিলারকে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে তাঁকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। এলাকার রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য। ড্রেন পরিষ্কার হয় না। আলো জ্বলে না। এক প্রকার কোনও রকমের পৌর পরিষেবাই পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো সেই ক্ষোভ থেকে এলাকারই কেউ এই পোস্টার লাগিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : 'পরিবারের সকলের চাকরি হোক, মঙ্গল হোক...' দইঘাট ছট পুজোয় এসে পুজো দিলেন মমতা
বর্ধমান শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সেখ আসিফ আনোয়ার জানান, এটা বিরোধীদের কাজ। তৃণমূলকে কলুষিত করার জন্য এটা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে মানুষ না থাকায় বিরোধীরা এই কাপুরুষের মতো কাজ করছে। পৌর পরিষেবা নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিক নয়। কাউন্সিলার এলাকায় আসেন। তবে আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে কি সমস্যা হচ্ছে সেটা জানবো।
বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার। এর সঙ্গে বিজেপি যুক্ত নয়। মানুষ পৌর পরিষেবা না পেয়ে তা নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। কোনও রকমেরই পরিষেবা তারা পাচ্ছেন না। এলাকায় কাউন্সিলারকে দেখা যায় না। এটা এই কারনে হচ্ছে কারণ ভোট হয়নি। তৃণমূল সেবা নয়, পেশীবলে ক্ষমতা দখলে বিশ্বাসী। সেভাবেই তারা পুরভোটে ক্ষমতা দখল করেছিল। পরিষেবার হল দেখে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এই পোস্টার সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।
যাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার সেই বর্ধমান পুরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চায়না কুমারী অবশ্য বলেন, আমি আমার সাধ্যমতো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করছি। কারা কী উদ্দেশ্যে এই পোস্টার দিয়েছে জানি না, বিষয়টি আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছি।