রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প পান্থশ্রীতে লালনের মৃত্যু হয়। গত ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় মুফ্শিল থানার নরোত্তমপুর থেকে লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ৪ ডিসেম্বর তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। ১০ ডিসেম্বর ফের তাঁকে দ্বিতীয় বারের জন্য তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেইদিন থেকে সিবিআইয়ের হেফাজতেই ছিল লালন শেখ। স্বাভাবাকি কারণে তাঁর মৃত্যুতে নানারকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তাহলে কী অসুস্থ ছিল লালন, প্রশ্ন উঠছে তাও৷
advertisement
এর আগে সিবিআই দাবি করেছিল, বগটুই কাণ্ডের চাঁই এই লালন শেখ, ঘটনাচক্রে যে সেই ঘটনায় মৃত ভাদু শেখের এক সময়ের ডান হাত৷ সেই কারণেই তদন্তে একাধিক পর্যায়ে বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর লালনের দিকে সন্দেহর তীর ঘোরে৷ তার পর তদন্ত আরও গিয়ে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এর পরই ঝাড়খণ্ড থেকে কয়েকদিন আগেই লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷
উল্লেখ্য, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা ছুড়ে হত্যা করা হয় ভাদু শেখকে৷ তার পর ওই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ সেই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়৷ রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে৷
AKSHAY DHIBAR