ক্যানিং থানার গোপাল পুর পঞ্চায়েত। এই এলাকারই বাসিন্দা ১৭ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এলাকারই এক নাবালকের। প্রেমের সম্পর্কের কথা দুজনের বাড়িতে জানাজানি হয়ে যাওয়ায় দ্রুত এই সম্পর্ককে বিয়ের পরিণতি দিতে চাইছিলেন দুই পরিবারের সদস্যেরা। সোমবার সন্ধেবেলা দু’জনের বিয়ের আয়োজনও সেরে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই এই বিয়ের খবর পৌঁছে যায় ক্যানিং থানার পুলিশের কাছে। আইন বিরুদ্ধ বিয়ে বন্ধ করতে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করে পুলিশ। কিন্তু ওদিকে পুলিশ আসার খবরও পৌঁছে যায় নাবালিকার পরিবারের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই কনে-কে নিয়ে চম্পট দেয় তাঁর পরিবারের লোকজন।
advertisement
আরও পড়ুন, 'কাল বুকে রাষ্ট্রপতির ছবি, আজ মশার ছবি!' বিজেপিকে তোপ চন্দ্রিমার
আরও পড়ুন, বঙ্গোপসাগরের ওপর গতি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, কলকাতায় ঝপঝপ করে নামবে তাপমাত্রা
কিন্তু, ঘটনাক্রম এখানেই থেমে থাকেনি। অভিযোগ, এর পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের উপরে অতর্কিতে হামলা চালায় নাবালিকার প্রতিবেশীরা। ঘিরে ফেলা হয় পুলিশের গাড়ি। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হতে থাকে ইট, পাটকেল। ভেঙে যায় পুলিশের গাড়ির কাচ। ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন ক্যানিং থানার এসআই এবং একজন ভিলেজ পুলিশকর্মী। প্রতিবেশীদের হামলার খবর পেয়ে পুলিশকর্মীদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে। তবে ইতিমধ্যেই সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ক্য়ানিং থানার পুলিশ। কিন্তু, নাবালিকা বিবাহ নিয়ে সরকারি ভাবে এত সচেতনতা প্রচার করা সত্ত্বেও আজও কেন রাশ টানা যাচ্ছে না এই ধরনের ঘটনায়, তা নিয়ে অবশ্য় প্রশ্ন থেকেই যায়। এখানেই শেষ নয়, নাবালিকা বিয়ে রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশ প্রশাসনকেও? তবে কি সমস্যার মূলেই পৌঁছতে ব্যর্থ প্রশাসন?