কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ায় যেভাবে সোমবার দুপুরে বাড়িতে ঢুকে ঈশিতাকে খুন করেছে দেশরাজ, তাতে দু জনের মধ্যে গোপনে যোগাযোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ যদিও যতক্ষণ না অভিযুক্ত দেশরাজকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এ বিষয়ে নিশ্চি হতে পারছেন না তদন্তকারীরা৷
তদন্তকারীদের দাবি, যেভাবে সোমবার দুপুরে ছক কষে বাড়িতে ঢুকে ওই কলেজ ছাত্রীকে দেশরাজ খুন করেছে, তাতে ঈশিতার সঙ্গে অভিযুক্তের গোপনে যোগাযোগের কথা উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা৷ পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স করার জন্য ভর্তি হয়েছিল দেশরাজ৷ ঈশিতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই দেশরাজ কৃষ্ণনগরের কলেজে ভর্তি হয়েছিল কি না, তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷
advertisement
ম ওই সময় ঈশিতার বাবা অফিসে থাকেন, মা স্কুলে যান ঈশিতার ভাইকে আনতে৷ সেই সুযোগেই দেশরাজ ঈশিতাদের বাড়ির দোতলায় উঠে যায়৷ ওই সময় যে ঈশিতাদের বাড়ি ফাঁকা থাকে, তা দেশরাজ কী ভাবে জানল, এই প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে তদন্তকারীদের মনে৷ ঈশিতার থেকেই দেশরাজ এই খবর পেয়ে থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশও৷
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কাঁচরাপাড়ায় থেকে পড়াশোনা করে ঈশিতা৷ বয়সের ফারাক থাকলেও দু জনে সহপাঠীই ছিল৷ সেই সময়ই দেশরাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে ঈশিতার৷
২০২৩ সালে ঈশিতা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার পর তাঁকে কৃষ্ণনগরে নিয়ে চলে আসে তাঁর পরিবার৷ এর পর থেকেই ঈশিতার সঙ্গে যোগাযোগ কমে যায় দেশরাজের৷ কিন্তু দু জনের মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি ছিন্ন হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা৷