আরও পড়ুন: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এ কী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী!
পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ এই বাংলায় বহু প্রাচীন। বরাবরের মতো এবারও হুগলির বিভিন্ন এলাকায় সোমবার আকাশ ছেয়েছে ঘুড়িতে। সকাল থেকে মেঘে ঢেকে ছিল আকাশ। তবে দুপুরের দিক থেকে একটু রোদ উঠতেই ঘুড়ির সুতো সল দিতে শুরু করে কিশোর থেকে শুরু করে মধ্যবয়স্ক সকলে। আর তাতেই দেখা গেল পুলিশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চিনা মাঞ্জা বা নাইলনের সুতো দিয়েও ঘুড়ি ওড়াচ্ছে অনেকে। এই নাইলনের সুতোর জেরে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা ঠেকাতেই এদিন নজরদারি ড্রোন ওড়ায় পুলিশ।
advertisement
রাস্তার বিদ্যুতের তারে চিনা সুতো আটকে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। শ্রীরামপুর রেল ব্রিজের উপর সুতো জড়িয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই। তাই সতর্ক ছিল পুলিশ। পৌষ সংক্রান্তিতে চিনা সুতোর ব্যবহার হচ্ছে কিনা, ঘুড়ি ওড়াতে কেউ নিয়ম ভাঙছে কি না তা দেখতে ড্রোনে ক্যামেরা লাগিয়ে তা উড়িয়ে নজরদারী চালাচ্ছিল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। সেই ড্রোনকেই প্যাঁচে ফেলে ভোকাট্টা করে দেয় ঘুড়ি উড়িয়েরা। শ্রীরামপুর পাঁচ বাবুর বাজার, রেল ব্রিজের উপর ঘুড়ির প্যাঁচ খেলা চলছিল। সেই প্যাঁচে পরেই পুলিশের ড্রোন মুখ থুবড়ে পড়ে মাটিতে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ঘুড়ি উড়াচ্ছিলেন বাবলু যাদব। তিনি বলেন, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ঘুড়ি উড়ানোর রেওয়াজ আছে।আমরা প্রতি বছর ঘুড়ি ওড়াই, তবে ‘কটন সুতো’ ব্যবহার করি। কিন্তু অনেকেই আছে চিনা মাঞ্জার সুতো ব্যবহার করে যা থেকে দুর্ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে সকলের সচেতন হওয়া জরুরি। নাহলে বিপদ হতে পারে। শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলর গৌরমোহন দে বলেন, চিনা সুতোয় এর আগে শ্রীরামপুরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আজ ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালাচ্ছিল। কিছু ছেলে সেই ড্রোনকেই প্যাঁচে ফেলে দেয়। আমরা চাই মানুষ সচেতন হোক। ছোটো ছেলেরা জানেই না হয়ত কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ। যেখানে চিনা সুতো বিক্রি হয় সেই জায়গায় পুলিশ অভিযান চালানো উচিত। গতকাল শেওড়াফুলি বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু চিনা সুতো আটক করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।ঘুড়ির নাইলন সুতো বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাহী হালদার





