মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করার পর ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়৷ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সমস্ত ঘটনার কথা তুলে ধরেন পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় , খড়্গরপুর এসআরপি দেবশ্রী সান্যাল।
গত রবিবার বাড়ি থেকে মোবাইল সারানোর জন্য ৮ বছরের মেয়ে এবং ১৩ বছরের বোনকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন পুরুলিয়ার সুইসার বাসিন্দা কাজল মাছুয়া (২৫)৷ পরের দিন, সোমবার ভোরে সুইসা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় কাজল মাছুয়া সহ দুই নাবালিকার দেহ৷ প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহ ছিল, তিন জনকেই খুন করে রেল লাইনের পাশে ফেলে যায় আততাতীরা৷
advertisement
কাজলের স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করায় ভিন রাজ্যে ছিলেন৷ কে বা কারা ওই তিন জনকে খুন করল, তা জানতে তদন্ত শুরু করে পুরুলিয়া জিআরপি থানার পুলিশ৷ গতকালই ঘটনাস্থলে যান খড়্গপুরের রেল পুলিশ সুপারও৷ জেলা পুলিশেরও সাহায্য নেয় জিআরপি৷
তদন্তে নেমে কাজলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা৷ সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হয় বছর পয়তাল্লিশের বাবুজান মৌমিনকে৷ বাবুজানের সঙ্গে কাজলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেই জানতে পেরেছ পুলিশ৷ দু জনেই পূর্ব পরিচিত ছিল৷
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় কাজলের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বাবুজানের৷ কথা কাটাকাটির মধ্যেই প্রথমে কাজলকে খুন করে বাবুজান এবং তার সঙ্গী বিজয় মাছুয়া৷ ১৮ বছরের বিজয়ের সঙ্গে আবার কাজলের বোন রাধার সম্পর্ক ছিল বলে খবর৷ কাজলকে খুন করার পর তাঁর মেয়ে এবং বোনকে খুন করা হয় বলে জানতে পেরেছন তদন্তকারীরা৷ খুনের পর তিনটি দেহকেই রেল লাইনের পাশে ফেলে দেয় দু জন৷ যাতে তিন জনেরই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রমাণ করা যায়৷ ধৃতদের জেরা করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷