পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ জুলাই হরিপাল থানার বন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা অর্পিতা দাস হরিপাল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন যে তার স্বামী দেবকুমার দাস তারকেশ্বর যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন৷ তার পর থেকে প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষকের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর পরের দিন ৫ জুলাই নিখোঁজ শিক্ষকের স্ত্রী অর্পিতা দাস থানায় এসে আবার একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোনে মেসেজ এসেছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ জোর কদমে তদন্ত শুরু করে।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে গাড়ি চালানো শেখাচ্ছিলেন স্বামী, হঠাৎ বড়সড় বিপত্তি! সাতসকালে শিউরে উঠল চুঁচুড়া
নিখোঁজ ব্যক্তির মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, দেবকুমার দাস একটি চলন্ত ট্রেনের মধ্যে আছেন এবং সেই ট্রেনটি মধ্যপ্রদেশের দিকে যাচ্ছে। পুলিশ জানতে পারে ট্রেনটি মথুরা চম্বল এক্সপ্রেস। এর পরেই এই খবর জেলার সমস্ত থানায় ফরোয়ার্ড করা হয়। হরিপাল থানার তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন যে, ওই ট্রেনেই ধনিয়াখালি থানার আধিকারিক পলাশ দে পুলিশের একটি টিম নিয়ে অন্য একটি ঘটনার তদন্তে গ্বালিয়র যাচ্ছেন। সেই সময় ওই শিক্ষকের ছবি, তথ্য দিয়ে বিষয়টি খোঁজ নিতে বলা হয়। সেই মতো ধনিয়াখালি থানার ওই পুলিশের দলটি খোঁজ চালিয়ে ট্রেনের ভিতর থেকে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষক দেবকুমার দাসকে খুঁজে পায়৷ ঝাঁসি স্টেশনের কাছে মথুরা চম্বল এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। এরপর হরিপাল থানার টিম সেখানে পৌঁছে ঝাঁসি থেকে দেবকুমার দাসকে হরিপাল থানায় নিয়ে আসে। তাঁকে আজ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে পুলিশ হেফাজত চেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্য কোনও আসামী যুক্ত আছে কি না তার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। ওই স্কুল শিক্ষকে আজ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দেবকুমার দাস গত ৪ জুলাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ঠিক কী ঘটেছিল, তাঁকে কারা অপহরণ করেছিল, কেন অপহরণ করেছিল? আদৌ ওই শিক্ষককে অপহরণ করা হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ৷ এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছ কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ কীভাবে ওই শিক্ষক মথুরা-চম্বল এক্সেপ্রেসে উঠলেন, তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন, সেই সমস্ত বিষয়েই ধৃত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ তবে ট্রেনে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কাউকে পায়নি পুলিশ৷