যদিও দিঘা পৌঁছনোর ঠিক মুখেই ঘটে বিপত্তি৷ দিঘার সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূরে মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে যায় সেই ভুটভুটি নৌকা৷ ততক্ষণে অন্ধকার নেমেছে৷ মাঝসমুদ্রে অসহায় অবস্থায় আটকে পড়েন ২৩ জন পর্যটক এবং নৌকার মাঝি৷
তবে বিপদের মধ্যেও ওই দলে থাকা কয়েকজন পর্যটকের উপস্থিত বুদ্ধিতেই কাজ হয়৷ সমাজমাধ্যম থেকে পাওয়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন তাঁরা৷ পর্যটকদের আটকে পড়ার কথা জানতে পেরেই তৎপর হয় পুলিশ, প্রশাসন৷ দ্রুত দুটি স্পিড বোট নিয়ে প্রশিক্ষিত নুলিয়া এবং ডুবুরিদের একটি দল পর্যটকদের ওই বিকল লঞ্চের কাছে পৌঁছয়৷ এর পর স্পিড বোটে তুলেই প্রত্যেককে উদ্ধার করে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসা হয়৷
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার মিতুল কুমার দে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই ওই হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে জেলা পুলিশ৷ পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই এতজন পর্যটককে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হল বলে জানিয়েছেন তিনি৷ ওই পর্যটকদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই দিঘায় পৌঁছন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ইউনিস ঋষিন ইসমাইল৷ ওই পর্যটকদের দলটির থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাঁরা যাতে জগন্নাথ ধাম দর্শন করতে পারেন, সেই আশ্বাসও দেন তিনি৷ পাশাপাশি নুলিয়া এবং ডুবুরিদের যে দলটি ওই পর্যটকদের উদ্ধার করেছে, তাঁদেরও সাহসিকতার প্রশংসা করেন তিনি৷
