সবে কলেজ পাশ করেছে পপি। জীবনের শুরুতেই নানা আক্ষেপ থাকলেও আত্মবিশ্বাস আর ইচ্ছাশক্তিকে সঙ্গী করেই একের পর এক নতুন ডিজাইনের উলের সামগ্রী তৈরি করে চলেছে সে। তার হাতে তৈরি সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার তো বটেই, সঙ্গে রয়েছে মোবাইল ফোনের কভার, বালিশের কভার, এমনকি উল দিয়ে তৈরি নানা রকম ফুলের তোড়া। সবচেয়ে বড় কথা, খুবই কম দামে এই সব সামগ্রী বিক্রি করেন পপি।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতে পর্যটক টানতে বসিরহাটের হেরিটেজ গ্রামে অভিনব আয়োজন! চলছে বিশেষ উৎসব, মন ভরে যাবে আগতদের
আমাদের মুখোমুখি হয়ে শিলিগুড়ির পপি জানিয়েছে, প্রথমে মায়ের কাছেই উল বোনার কাজ শেখেন তিনি। পরে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে নিজের দক্ষতাকে আরও উন্নত করেন। তাঁর কথায়, সরকার নানা প্রকল্প চালু করলেও এই ধরনের ঘরোয়া শিল্পের দিকে যদি আরও একটু পরিকল্পিতভাবে নজর দেওয়া হয়, তাহলে বহু মানুষই স্বনির্ভর হতে পারবেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পপি আরও জানায়, যাঁরা সারাদিন বাড়িতে বসে থাকেন কিংবা মোবাইলে সময় নষ্ট করেন, তাঁরা চাইলে এই কাজ শিখে নিজেরাই কিছুটা হলেও রোজগার করতে পারেন। কেউ যদি শিখতে চান, পপি নিজে হাতে শেখাতেও প্রস্তুত। বর্তমানে বছরে প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস উলের সামগ্রীর চাহিদা বেশি থাকলেও, বাকি সময়েও কম-বেশি অর্ডার আসে বলে জানিয়েছে সে। পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক, হার মানতে রাজি নয় পপি রায়। নিজের পরিশ্রম আর বিশ্বাসের জোরেই এগিয়ে যেতে চায় সে। হার না মানা এই তরুণীর লড়াইয়ের গল্পই আমরা তুলে ধরলাম আমাদের প্রতিবেদনে। আশা রাখি, পপি রায়ের এই উদ্যোগ আরও অনেককেই অনুপ্রাণিত করবে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে।





