জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বসুনগরে এই চুরির ঘটনা ঘটেছিল৷ পরিচিত একজনের সূত্রে নতুন এক পরিচারিকাকে বাড়ির কাজে রেখেছিল ওই পরিবার৷ কাজে যোগ দেওয়ার তিন দিনের মাথায় গত ৭ জুন বাড়ির আলমারি থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার সোনার চেন, কানের দুল, আংটি চুরি করে নিয়ে পালায় ওই পরিচারিকা৷ গত ১০ জুন মধ্যমগ্রাম থানায় চুরির অভিযোগ জানায় ওই পরিবার৷
advertisement
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই পরিচারিকার বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরে৷ ১০ তারিখ রাতেই সেখানে হানা দিয়েই ওই পরিচারিকার বাড়ির ভিতরে মাটি খুঁড়ে চুরি যাওয়া সমস্ত গয়না উদ্ধার করে পুলিশ৷ গ্রেফতার করা হয় ওই পরিচারিকাকে৷ এ দিন সেই সমস্ত গয়নাই অভিযোগকারী পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ৷
শুধু এই সোনা চুরির ঘটনা নয়, গত কয়েকদিনে মধ্যমগ্রাম থানা এলাকায় চুরি যাওয়া মোট ১৭ লক্ষ টাকার জিনিস এ দিন অভিযোগকারীদের হাতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ৷ বাড়ি থেকে গ্যাস, এসি-র পাইপ চুরির সঙ্গে যুক্ত দুই চোর কৃষ্ণ এবং কানাইকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাতে ঘুমতো কানাই৷ কৃষ্ণ থাকত দমদম রেল স্টেশনে৷ মোবাইল ফোনও ব্যবহার করত না তারা৷