আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের মাছ চাষ কলেজ পড়ুয়াদের কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে
সুন্দরী হেমব্রমের বয়স ৬০ বছরেরও বেশি। তাঁকে বাড়িতে দেখার কেউ নেই। ছেলেরা ফেলে রেখে আগেই অন্যত্র চলে গিয়েছে৷ পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের আমজরুলিয়া গ্রামে একাই থাকেন সুন্দরী। সেইভাবেই কোনরকমে কাটিয়ে দিচ্ছিলেন। তবে বার্ধ্যক্যজনিত রোগে ভুগে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েন। তার উপর এই তীব্র শীতে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিন ধরে একদমই বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই খবর গিয়ে পৌঁছয় ছোড়া ফাঁড়ির বড়বাবু ত্রিদিব রাজের কাছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরী হেমব্রমের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। এরপর ওই বৃদ্ধাকে তাঁর ঘর থেকে তুলে এনে টোটোয় চাপিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে আবার সুন্দরী হেমব্রমকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান ওই পুলিশ কর্তা। তবে এখানেই শেষ নয়, বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পরে ত্রিদিববাবু বৃদ্ধাকে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে দেন এবং শীতবস্ত্রও প্রদান করেন। এদিকে বাড়িতে পুলিশ দেখে প্রথমে সুন্দরীদেবী ঘাবড়ে গেলেও পরবর্তীতে সবটা দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। বলেন, পুলিশ নয়, উনি ভগবান! এই উপকার কোনওদিনও ভুলব না। এদিকে ওই পুলিশকর্তা বিষয়টিকে তেমন বড় করে দেখতে রাজি নন। তিনি জানিয়েছেন নিজের কর্তব্যটুকু পালন করেছেন শুধু।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী






