প্রসঙ্গত, আসানসোলে বিজেপির কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তীব্র বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় বুধবার। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। এই ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচজন। আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙালে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চলে যাওয়ার পরপরই হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,'ঘটনা দুঃখজনক। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে মামলা রুজু করেছে পুলিশ'।
advertisement
বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছেন, "আমি অনুষ্ঠানে থাকাকালীন ভিড় সামলানো ও ট্রাফিক পুলিশের তরফে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। দুর্ঘটনা ঘটার পর আমি অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে, আমি অনুষ্ঠান স্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীরা সেই অঞ্চল ছেড়ে চলে যান। এমনকি, পুলিশকর্তাদের নির্দেশে সিভিক ভলিন্টিয়ারদেরও সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। নিহতদের পরিবারেরও পাশে থাকব। খুব শীঘ্রই সেই পরিবারগুলোর সঙ্গে আমি দেখা করতে আসানসোল যাব।’’
আরও পড়ুন, চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল! সংসদে এই বিষয় নিয়ে সরব দলের একের পর এক সাংসদ
আরও পড়ুন, 'স্বৈরাচার অন্ধকার পরিস্থিতি!' মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দাবিকে সমর্থন রাহুলের
অন্যদিকে দুর্ঘটনার পরে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,"আসানসোল পুলিশ কমিশনার বলেছেন, অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এর পর দেখা গেল, চৈতালি তিওয়ারি চিঠি দিয়েছেন থানাকে, সেটা দেখানো হচ্ছে। সেখানে লেখা আছে কনটেন্ট নট ভেরিফায়েড। দুটোর ফারাক আছে। পুলিশ ওনাদের কাছে এস্টিমেট চেয়েছিল। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কোনও যোগাযোগ তাঁরা করেননি। পুলিশ ছিল কারণ শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তা প্রাপ্ত ব্যক্তি। এর সঙ্গে অনুষ্ঠানের সম্পর্ক নেই।"