দুর্ঘটনা রুখতেই এই উদ্যোগ বলে জেলা পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, মাঝরাত থেকে ভোরের দিকে ক্লান্তিতে অনেক সময় দু চোখের পাতা বুজে আসে গাড়ি চালকদের। তখন স্টিয়ারিং এর নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। ঘুম চোখে দুর্ঘটনা সম্ভাবনা তৈরি হয়। সেই দুর্ঘটনা কমাতেই চালকদের ঘুম ছাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীতের ভোরে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে হাতে হাতে সেই চা (Tea) তুলে দিচ্ছেন পুলিশ (Police) কর্মীরা।
advertisement
কিছুদিন আগে বর্ধমানের দেওয়ান দিঘিতে পথ দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়েতে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। তারপর থেকেই এই উদ্যোগ শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ
জেলার পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভোরের দিকে দুর্ঘটনা বাড়ে। তাছাড়া এই সময় কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতাও অনেক কমে যায়। তাই এই সময় বাড়তি সতর্কতা নিয়ে গাড়ি চালানো দরকার। তাই চালকরা যাতে ঘুম চোখ কাটিয়ে তরতাজা হয়ে উঠতে পারেন সে জন্যই বিভিন্ন জায়গায় চা জল পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাস্তার ধারে জল চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন পুলিশ কর্মী সিভিক ভলেন্টিয়াররা।
আরও পড়ুন- IQ: বুদ্ধিতে ছাড়িয়ে গিয়েছে আইনস্টাইনকেও, IQ টেস্টে বাজিমাত ১২ বছরের ব্রিটিশ বালকের
তারাই জলের বোতল বাড়িয়ে দিচ্ছেন চালকের দিকে। জল দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে বলা হচ্ছে। এরপর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে গরম চা। সেই চা পান করে ঘুম কাটিয়ে ফের গাড়ি চালানোয় মন দিচ্ছেন চালকরা। পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি গাড়ি চালকরা। তাঁরা বলছেন, অনেকেরই চোখ লেগে যায়। তখন চোখ মুখ ধুয়ে চা খেয়ে অনেকটাই তরতাজা হওয়া যাচ্ছে।
Saradindu Ghosh