জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু ৷ ইভটিজিংয়ের এখনও প্রমাণ মেলেনি ৷’ কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের পাল্টা অভিযোগ, ‘ইভটিজিংয়ের জেরেই পালাতে গিয়ে গাড়ি চাপা পড়ে মারা গিয়েছে ওই মেয়েটি ৷’ পুলিশের এই ভূমিকাতেই উঠছে প্রশ্ন ৷ ইভটিজিংয়ের ঘটনা আড়াল করতে শুধুমাত্র দুর্ঘটনা বলে চালাতে চাইছে পুলিশ ৷ যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব স্পষ্ট ৷ তাহলে কেন এই প্রচেষ্টা ৷
advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ নন্দকুমার থানার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণীর তিন ছাত্রী কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়ক ধরে গারুঘাটার দিকে যাচ্ছিল ৷ মেন রোড থেকে ট্রেকার ধরার জন্য তাঁরা বেশ কিছুটা হেঁটে যাওয়ার কথা ভাবে ৷ অভিযোগ, সেসময় একটি গাড়ি তাদের পিছু নেয় এবং গাড়িতে থাকা দুই যুবক তাদের উত্যক্ত করতে থাকে ৷ চলন্ত গাড়ি থেকেই চলতে থাকে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি ৷ এরপর গাড়ি নিয়ে কেরামতি দেখাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই তিন ছাত্রীকে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে উল্টে যায় গাড়িটি ৷
গাড়িতে পিষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৬ বছরের মধুমিতা বাগের ৷ গুরুতর আহত হয় তাঁর দুই সহপাঠী ৷ দুর্ঘটনার সময় বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে আসে স্থানীয়রা ৷ গাড়িতে থাকা দুই যুবককে সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলা হয় ৷ তাদের বেদম মারধর করে স্থানীয়রা ৷ পরে তাদের তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে ৷ ধৃতদের নাম দিব্যেন্দু দাস ও সুব্রত মাইতি ৷
আহত ছাত্রীদের তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মধুমিতাকে নিহত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ বাকি দুই ছাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৷
ধৃতদের বিরুদ্ধে ঘটনায় ৩০৭, ৩০৩, ৩২৫, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ৷ ঘাতক গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে ৷