পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার শ্রীধরপুর হাইরোড এলাকার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে অভিনব কায়দায় টাকা লুট। অভিযোগ পেয়ে এটিএম চত্বরে সাদা পোশাকের পুলিশ ওঁত পেতে হাতেনাতে পাকড়াও করল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এক দুষ্কৃতিকে।
advertisement
গ্রেফতার করল নন্দকুমার থানার পুলিশ। রবিবার রাতে নন্দকুমার থানার পুলিশ হাইরোডে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি এটিএম কাউন্টার থেকে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে নন্দকুমার থানার পুলিশ। এটিএম কাউটারের সামনে ফাঁদ পেতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃতের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় এলাকায়। জানা গেছে, কয়েক দিন আগেই তমলুক শহরের পদুমবসানে এক সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। সেও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তমলুকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত সে। এটিএম জালিয়াতি কান্ডে ধৃত সলমন খানের আসল বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। সে বেশ কয়েক বছর আগে গাড়ি চালানোর সুত্রে হলদিয়ায় এসে এক মহিলাকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতেই থাকে।
দিনে গাড়ির চালক, রাতে এটিএম ডাকাতি। এভাবেই সে জালিয়াতি চালিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন ধরে নন্দকুমার থানা এলাকায় বিভিন্ন এটিএম কাউন্টার টাকা তোলার সময় বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছিল। গ্রাহকেরা টাকা তোলার জন্য এটিএম কাউন্টারে গিয়ে কার্ড পাঞ্চ করে পিন নম্বর দেওয়ার পরে টাকা বের হওয়ার শব্দ হলেও টাকা বাইরে আসত না। অথচ, পরবর্তী সময়ে সেই টাকা তোলা হয়েছে বলে মেসেজ চলে আসত এবং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে যেত। একই রকম একাধিক অভিযোগ আসার পর পুলিশের তরফে বিভিন্ন এটিএম কাউন্টারে নজরদারি চালানো হচ্ছিল।
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে এক ব্যক্তি বার বার ভিতরে ঢুকছিল ও বের হচ্ছিল দেখেই পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় এবং পরে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একাধিক এটিএম কার্ড ও সেলোটেপ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃত সলমন খান আগে মহারাষ্ট্রে ট্যাক্সি চালাতেন। সেখানেই একজনের কাছ থেকে এটিএম থেকে টাকা তোলার কায়দা শিখেছিল। এটিএম যন্ত্রে টাকা বের হওয়ার জায়গায় সে সেলোটেপ লাগিয়ে দিত। এরপর বাইরে অপেক্ষা করত। গ্রাহক এটিএম ‘কার্ড’ পাঞ্চ করার পরে পিন নম্বর দিলে টাকা বের হত না। এটিএম খারাপ ভেবে গ্রাহক চলে গেলে সলমান কাউন্টারে ঢুকে সেলোটেপ খুলে সেই টাকা তুলে নিত। আজ নন্দকুমার থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে সবকিছু জানান পুর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। ধৃত সলমন খানের সঙ্গে এধরনের জালিয়াতি চক্রে আরও বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি জড়িত আছে বলে পুলিশের দাবি। তাদের সন্ধান পেতে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।