কিন্তু কোন অভিযোগে ডাক্তারি পড়ুয়ার বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ? সূত্রের খবর, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতা বন্ধুর নামে যে অভিযোগ করেছেন, তার পরই নির্যাতিতার সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
ওই সূত্রের দাবি, নির্যাতিতার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করেছেন ঘটনার দিন রাতে তাঁর সহপাঠী ওই যুবকও তাঁর উপরে জোর করার চেষ্টা করেছিল৷ জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার ওই সহপাঠীর বাড়ি মালদহ জেলায়৷
advertisement
ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসপাতালে চিকিৎসকদের কাছেও সেদিন রাতের বর্ণনা দিয়েছেন নির্য়াতিতা৷ তিনি জানিয়েছেন গত শুক্রবার রাতের খাওয়া সেরে নিজের পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ফেরার সময়ই তাঁদের পিছু নেয় ওই দুষ্কৃতীরা৷
নির্যাতিতা তাঁর চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, ‘আমরা খেয়াল করি ওরা আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে৷ বিপদ আঁচ করে আমরা জঙ্গলের দিকে দৌড়তে থাকি৷ তখন তিন জন কাছে এসে আমাকে ধরে ফেলে৷ এর পর ওরা আমাকে টানতে টানতে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যেতে থাকে৷’
নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তাঁর ফোন কেড়ে নিয়ে জোর করে তাঁকে নিজের ওই পুরুষ বন্ধুকে ফোন করতে বলে৷ নির্যাতিতা জানান, ‘যখন আমার বন্ধু আসতে রাজি হয়নি তখন ওরা আমাকে ঠেলে মাটিতে ফেলে দেয়৷ আমি চিৎকার করলে ওরা ভয় দেখিয়ে বলে, ফের আওয়াজ করলে ওরা আরও লোক ডেকে এনে আমার উপরে নির্যাতন করবে৷’
এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুরের এই গণধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অভিযুক্তদের মধ্যে ওই বেসরকারি হাসপাতালের একজন প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী, একজন কর্মী, স্থানীয় পুরসভার একজন অস্থায়ী কর্মীও রয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই এক ধৃত এবং নির্যাতিতার সেই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ অভিযুক্তের পোশাকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷