গ্রামবাসী উৎপল ভট্টাচার্য জানান এই গ্রামের পুজো প্রায় পাঁচশো থেকে সাড়ে পাঁচশো বছর পুরনো পুজো। গ্রামের ভট্টাচার্য এবং মুখোপাধ্যায় বাড়ির পাঁচ শরিকের এই পুজো গ্রামের এখন কুলদেবতা। আশপাশের এলাকাই শুধু নয়, দূর দূরান্তের ভক্তদের কাছে যথেষ্ট সমাদৃত। স্বমহিমায় দেখুড়িয়ার কালী আজও পাঁচশো বছর আগে প্রতিষ্ঠিত পঞ্চমুন্ডির আসনে বিরাজ করেন।
দেখুড়িয়ার এই কালী পুজোর স্থান এখন ৩০ ফুট উচ্চতার পাকা মণ্ডপ হয়েছে। পাকা দালানের মণ্ডপ ঘিরে নির্মাণ হয়েছে সুউচ্চ লোহার গেট। পুজোর শরিকেরা জানালেন, আগে কেবলমাত্র মা কালীর পঞ্চমুন্ডির আসন লোহার গ্রিল দিয়ে ঘেরা ছিল। মাথার উপর ছাউনি ছিল না। দশ বছর আগে পুজোর শরিকদের উদ্যোগে এবং ভক্তদের দানে মন্দির সংস্কার হয়েছে। সুন্দরভাবে পাকাপোক্ত করে তৈরি করা হয়েছে রাস্তাঘাট। চার ধারের সুন্দর সুন্দর গাছ গাছালি আপনার মনকে মুগ্ধ করে দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন : আটচালার দেবালয় প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসের আকর, কালীপুজোয় আসুন সুন্দরবনের ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে
দেখুড়িয়ার কালী যেমন সুউচ্চ তেমনি শ্যামবর্ণা। বিগ্রহের রূপ আজও সমান ভাবে বংশ পরম্পরায় বজায় রেখেছেন গ্রামের মৃৎশিল্পী। তাই এবার পুজোয় যদি আপনি বীরভূমের তারাপীঠ ভ্রমণের জন্য আসেন, তাহলে অবশ্যই তারাপীঠ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই এই গ্রামটি ঘুরে আসুন।