কালীপুজোর দিন আজও হাজারে হাজারে মানুষ আসেন এই মূর্তি দর্শন করতে। তন্ত্র মতে পুজো হয় এখানে। আজ বলিদানপ্রথা ভীষণ ভাবে নিষিদ্ধ এই পুজোয়। কালো মাটির বাঁকে-বাঁকে আজও জীবন্ত ইতিহাস। পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে প্রাচীনত্বের শিকড় । কিন্তু আদি গঙ্গার পাড়ে অদ্ভূত এক আলো-আবছায়ার মিশেল, যা দীপাবলির রাতে জাগিয়ে রাখে গোটা বিষ্ণুপুরকে । তন্ত্রসাধনা ও শবসাধনা সময়ের ঘষা লেগে সেসব কল্পকথা হয়ে গেলেও, এই একটি রাতই আজও সাবেকিয়ানার সঙ্গে বেঁধে রেখেছে এলাকার মানুষকে।
advertisement
মণিলাল মারা গিয়েছেন অনেক আগেই । তাঁর মৃত্যুর পর ভাই ফণীভূষণ চক্রবর্তী সেবায়েত নিযুক্ত হন । এখন মণিলালের ছেলে শ্যামল চক্রবর্তী মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্বে রয়েছেন । সত্তরোর্ধ্ব শ্যামল চক্রবর্তী প্রধান সেবায়েত । তিনি বলেন, “বাবার মৃত্যুর পর কাকা ফণীভূষণ চক্রবর্তীর কাছে তন্ত্রের শিক্ষা নিতে থাকি । তাঁর হাত ধরেই গুপ্তবিদ্যা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু । পরে করুণাময়ী মন্দিরে নিত্যপুজো শুরু করি । কালীপুজোর আগে এই মুহূর্তে তুমুল ব্যস্ততা তাঁদের । দালানে নতুন রং’য়ের প্রলেপ পড়ে গিয়েছে । পুজোর দিন দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন এই পুজো দেখতে।