নাম- শুভ্র শান্তা
ঠিকানা- হলদিয়ার চাউলখোলা
কী দেখা গেল- নিউজ ১৮ এই বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শুভ্র তিনি বেরিয়ে এলেন। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই তিনি বললেন, “এই বাড়িটা আমার শ্বশুরের বাড়ি। আমাদের একটা ছোট ঘর আছে (সেটা পাকা ঘর)। সবাই PMAY-তে তাঁদের নাম পাচ্ছিলেন, তাই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছেও গিয়েছিলাম। পনেরো দিন আগে কিছু লোক বাড়ির ছবি ক্লিক করেছিল। আমরা জানি না আমাদের নাম বাদ পড়েছে কি না।”
advertisement
নাম- রতন চন্দ্র দাস
ঠিকানা- হলদিয়া বাঁশখানা জলপাই
কী দেখা গেল- নিউজ ১৮ ওই বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এসেছিলেন। ভিড়ের মহিলারা জানান “তালিকায় ওদের নাম রয়েছে। ওদের একটি মিষ্টির দোকান ও বাড়ি রয়েছে। এটাই রাজনীতি। গরিব আরও গরিব এবং ধনী আরও ধনী হচ্ছে।”
ওই বাড়িতে থাকা গীতা দাস নামে এক মহিলা জানান, “এই বাড়িটা আমার স্বামীর ভাইয়ের। আমরা আবাস যোজনা প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানি না।” খবর পাওয়ার পরে রতন দাস বাড়ি চলে আসেন। তিনি জানান, “আমাদের একটা মিষ্টির দোকান আছে, কিন্তু এখন অবস্থা খারাপ। এটা আমার ভাইয়ের বাড়ি। আমার জমি আছে এবং আমার একটি বাড়ি দরকার। আমি বিষয়টি প্রধানকে বলেছি।”
নাম- নিতাই পাইক
ঠিকানা- পূর্ব মেদিনীপুর রাজনগর গ্রাম
কী দেখা গেল- নিতাইবাবুর শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর পুত্রবধূ প্রতিমা পাইক নিউজ ১৮-কে জানান, “আমার শ্বশুরের সঙ্গে আমাদের সমস্যা ছিল। এই বাড়িটা তাঁর। তাই আমরা আমাদের প্রধানের কাছে গেছিলাম। এতে ক্ষতি কী?"
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছেন, “এখানে অধিকার রাজ চলছিল। এখন আমাদের সরকার রেকর্ড পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে। শুভেন্দু কী বলেন বা বিজেপি কী বলে, তাতে কিছু যায় আসে না। সরকার ভুয়ো নাম মুছে ফেলছে।”
আরও পড়ুন, দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্য়াস ট্য়াঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, হতাহত বহু! দগ্ধ হয়ে রাস্তায় ছুটছেন মানুষ
আরও পড়ুন, বড়দিনের আনন্দে বড় কোপ! সঙ্গী খারাপ আবহাওয়া? জানুন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “PMAY-এর জন্য ১৭টি প্যারামিটার রয়েছে। বড় বাড়ি-সহ অন্যান্য জিনিস থাকার পরেও, কেউ যদি আবাস যোজনার টাকা পান, এমন নাম থাকলে আমাদের কাছে তালিকা পাঠান। আমরা নিশ্চিত করব যে তাঁরা যেন টাকা ফেরত দিয়ে দেয়।”