পশ্চিম বর্ধমানের সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী, এই অঞ্চলের তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোকে উজ্জীবিত করতে প্রধানমন্ত্রী ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল)-এর সিটি গ্যাস বন্টন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ১,৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। এর সাহায্যে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলিতে পিএনজি সংযোগ প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
advertisement
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনটি জাতির উদ্দ্যেশে উৎসর্গ করবেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর ‘উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১,১৯০ কোটি টাকা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্য দিয়ে এই পাইপলাইন যাবে। পরিচ্ছন্ন বায়ু ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা পূরণে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে রেট্রোফিটিং পলিউশন কন্ট্রোল সিস্টেম ফ্লু গ্যাস ব্যবস্থার (এফজিডি) সূচনা করবেন। রেল পরিকাঠামোকে উজ্জীবিত করতে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া থেকে কোটশিলা পর্যন্ত রেললাইন ডাবলিং করার কাজটি জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী পশ্চিম বর্ধমানের তপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে সেতু ভারতম কর্মসূচির আওতায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সেতুর উদ্বোধন করবেন। এই সেতু ও ওভারব্রিজগুলি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি, রেলের লেভেল ক্রসিং-এ দুর্ঘটনা রুখতেও সহায়ক হবে। বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএএমসি বা এইচএফসিএল কারখানা খোলা প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “এক বছরের মধ্যে দুর্গাপুরের উন্নতি মানুষ দেখতে পাবে। ২০২৬ এর সেপ্টেম্বর মাসে শিল্পের পরিস্থিতি তৈরি হবে। দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় রাজ্য সমন্বয়ের মাধ্যমে তার পুনরুজ্জীবিত করা হবে। পশ্চিমবঙ্গে শিল্পোন্নয়নের সূচনা হবে দুর্গাপুর দিয়ে। পুরানো দুর্গাপুরের প্রানের স্পন্দন ফেরান হবে। রাজ্যে হরিয়ানা, মহারষ্ট্র, মডেলে শিল্পোন্নয়ন হবে।”
দীপিকা সরকার