খাল-বিল ও জলাশয়ের মাছ সংরক্ষণ এবং মৎস্যচাষে এলাকার মৎস্যজীবীদের আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতে এই বছর নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। উৎসবে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে পেন কালচারের ব্যবহার ও মৎস্যচাষে এর গুরুত্ব। এর মাধ্যমে খাল-বিল ও জলাশয়কে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মৎস্যজীবীদের আর্থিক উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এক ছাদের তলায় সাংসদ থেকে বিধায়ক! পশ্চিম বর্ধমানে হয়ে গেল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, জেলাবাসীর জন্য বড় খবর
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রায় ২৫ বছর আগে এই উৎসবের সূচনালগ্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাল-বিল ও জলাশয় সংরক্ষণের বার্তা তুলে ধরে নিজের স্বরচিত একটি কবিতা উৎসবের জন্য উপহার দিয়েছিলেন, “খাল-বিল আর জলাশয়ে ভরা রূপসী বাংলা কন্যা, ওঁদের সবাই যত্ন করো, ওঁরা আমাদের অনন্যা।”
উৎসবকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বিকেলে কালনা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেলার প্রধান উদ্যোক্তা তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জানান, এই উৎসব শুধু লোকসংস্কৃতি ও পিঠেপুলির মতো গ্রামীণ খাদ্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ, মৎস্যচাষ ও প্রাণী পালনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এদিনই বিকেলে পূর্বস্থলী–১ ব্লকের বড় কোবলা এলাকায় উৎসব উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের সাধুর আশ্রম থেকে শুরু হয়ে বড় কোবলা কচুরিপানা শিল্প পর্যন্ত অগ্রসর হয়। গ্রামীণ সংস্কৃতি ও লোকজ ঐতিহ্যের নানা রঙে রাঙানো এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন বহু মানুষ। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক, জেলা পরিষদের সদস্য অপর্ণা মুন্সি, সহ বিশিষ্টজনেরা।
