স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার। সেই ইচ্ছে ডানায় ভর করেই সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে মাধ্যমিকে বসেছে ঘাটালের নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমনা সামন্ত। দুটি পা-ই অকেজো। প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে ঘষটে ঘষটে কোনওরকমে চলাফেরা। তবু সাহসের কমতি হয়নি। কমেনি জেদও।
জন্মের পর থেকেই চলাফেরার শক্তি ছিল না। চেষ্টার ত্রুটি ছিল না হতদরিদ্র বাবা -মায়ের । কলকাতায় এনে হাসপাতালে ছমাস ভরতি রেখে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু পায়ের সার আর ফেরেনি। হতাশ হলেও হাল ছাড়েননি মা কাজল সামন্ত । ততদিনে স্বামী মারা গেছেন। একা হাতে গরু, বাছুর, ছাগল প্রতিপালন করে , কখনও পরিচারিকার কাজ করে বড় করে তুলেছেন মেয়েকে। ভরতি করিয়েছেন স্কুলে। আজ সেই মেয়েকেই কোলে করে মাধ্যমিক দিতে নিয়ে যেতে গর্বে বুক ভরে উঠছে মায়ের।
advertisement
পাশে থাকা শিক্ষিকা ও বন্ধুরা মনোবল বাড়িয়েছে। আকাশছোঁয়ার স্বপ্নটা আরও গাঢ় হয়েছে। নিজের শারীরিক সমস্যা আজ নিতান্তই তুচ্ছ। ঘাটাল গুরুদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমনার চোখে এখন সমাজ গড়ার স্বপ্ন।