TRENDING:

দুটি পা অকেজো, তবুও অদম্য জেদকে সম্বল করেই মাধ্যমিকে বসছে সুমনা

Last Updated:

হাঁটু ঘষে , কখনও হামাগুড়ি দিয়ে কোনওরকমে ঘরের বাইরে। তারপর মায়ের কোলে চেপে টোটো।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মেদিনীপুর: হাঁটু ঘষে , কখনও হামাগুড়ি দিয়ে কোনওরকমে ঘরের বাইরে। তারপর মায়ের কোলে চেপে টোটো। ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলে পৌঁছে মায়ের কোলেই পরীক্ষার হল। এভাবেই মাধ্যমিক দিচ্ছে বসছে ঘাটালের সুমনা সামন্ত। জন্ম থেকেই দুটি পা অকেজো। তবু অদম্য জেদ, মায়ের ভরসা আর শিক্ষক, বন্ধুদের সহযোগিতা সম্বল করে জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় বসছে সুমনা।
advertisement

স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার। সেই ইচ্ছে ডানায় ভর করেই সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে মাধ্যমিকে বসেছে ঘাটালের নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমনা সামন্ত। দুটি পা-ই অকেজো। প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে ঘষটে ঘষটে কোনওরকমে চলাফেরা। তবু সাহসের কমতি হয়নি। কমেনি জেদও।

জন্মের পর থেকেই চলাফেরার শক্তি ছিল না। চেষ্টার ত্রুটি ছিল না হতদরিদ্র বাবা -মায়ের । কলকাতায় এনে হাসপাতালে ছমাস ভরতি রেখে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু পায়ের সার আর ফেরেনি। হতাশ হলেও হাল ছাড়েননি মা কাজল সামন্ত । ততদিনে স্বামী মারা গেছেন। একা হাতে গরু, বাছুর, ছাগল প্রতিপালন করে , কখনও পরিচারিকার কাজ করে বড় করে তুলেছেন মেয়েকে। ভরতি করিয়েছেন স্কুলে।  আজ সেই মেয়েকেই কোলে করে মাধ্যমিক দিতে নিয়ে যেতে গর্বে বুক ভরে উঠছে মায়ের।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

পাশে থাকা শিক্ষিকা ও বন্ধুরা মনোবল বাড়িয়েছে। আকাশছোঁয়ার স্বপ্নটা আরও গাঢ় হয়েছে। নিজের শারীরিক সমস্যা আজ নিতান্তই তুচ্ছ। ঘাটাল গুরুদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমনার চোখে এখন সমাজ গড়ার স্বপ্ন।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
দুটি পা অকেজো, তবুও অদম্য জেদকে সম্বল করেই মাধ্যমিকে বসছে সুমনা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল