সারা বছরই জমির মধ্যে পোকামাকড়ের উৎপাত লেগেই রয়েছে। বিশেষত বর্ষাকালে এক ধরনের পোকা জমিতে লক্ষ্য করে কৃষকেরা। যে সমস্ত পোকা গুলি ফসলের মাঝখান থেকে কেটে দেয় এর ফলে ধানের শিষ আর বাড়ে না। যেই কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কৃষকদের। সেই সমস্ত পোকামাকড় এর হাত থেকে ফসলকে বাঁচাতে চাষিরা নিজের ফসলে ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই ওষুধ ব্যবহার করতে যেই মেশিন বর্তমানে তারা ব্যবহার করেন সেগুলিতে অধিক পরিমাণে জল এবং কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় এবং সেই মেশিন দিয়ে ওষুধ জমিতে দেওয়া যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ এবং পরিশ্রম।
advertisement
আরও পড়ুন – Elephant Attack: সন্ধ্যা হলেই ধেয়ে আসছে হাতি, ধান ক্ষেতের চিন্তায় মাথায় হাত কৃষকদের
তবে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ড্রোনের সাহায্যে সেই ওষুধ ব্যবহার করলে তা অনেকটাই হবে সাশ্রয়। এদিন বিধানচন্দ্র কৃষিবিজ্ঞান বিদ্যালয় এর আধিকারিকেরা এসে ড্রোনের সাহায্যে কিভাবে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করা যায় তারই প্রশিক্ষণ দিলেন চাষীদের। সারা পৃথিবীব্যাপী অ্যাডভান্স টেকনেলজি বিস্তার লাভ করছে ধীরে ধীরে। কৃষিতেও হচ্ছে অগ্রগতি। সেইমতো পিছিয়ে নেই ভারতবর্ষও। গত বছরই ভারত সরকার একটি প্রকল্প চালু করেছে যেখানে ড্রোনের মাধ্যমে স্বল্প খরচের স্বল্প সময় কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করা করা যাবে জমিতে।
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের এক আধিকারিক তরুণ সরকার জানালেন, \”ড্রোনের মাধ্যমে জমিতে কীটনাশক কিংবা সার ব্যবহার করলে দেখা যাচ্ছে ১০ লিটার জলে এক একর জমিতে সেই কীটনাশক কিংবা সার স্প্রে করা যাচ্ছে এবং সময়ও লাগছে দশ মিনিটের মত। এক বিঘা জমিতে সার কিংবা কীটনাশক ব্যবহার করতে যেখানে চাষিদের ৬৪ লিটার জল প্রয়োজন হতো সেখানে ১০ লিটার জলে সেই ওষুধ বা সার প্রয়োগ করা যাচ্ছে এবং সেখানে সার কিংবা ওষুধের মাত্রা লাগছে কম। একজন কৃষক সারাদিনে ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমি যদি কীটনাশক স্প্রে করতে পারেন সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে সারাদিনে প্রায় ১০০ বিঘার মতো জমি ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক প্রয়োগ করা যাবে।\” যদিও এই মুহূর্তে এই ড্রোনের বাজার মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে শুরু। তবে এই ড্রোন যারা কিনতে ইচ্ছুক সরকার থেকে প্রায় ৬০% ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে এই ড্রোনে।নদিয়া জেলায় শান্তিপুর ব্লকে এই প্রথম ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ এবং সার প্রয়োগ করা হল। কৃষক কিংবা কোনও ফারমার্স অর্গানাইজেশন যদি মনে করেন এই ড্রোন কিনবেন তারা এডিএ অফিসে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে কাস্টম হিয়ারিং সেন্টারে মাধ্যমে তারা এই ড্রোন কিনতে পারেন।
Mainak Debnath