করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ট্রেন চলাচল বন্ধ। বর্ধমান কাটোয়া শাখায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে না। এখন মহকুমা শহর কাটোয়ার সঙ্গে জেলা সদর বর্ধমানের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তা। শুধু কাটোয়া নয়, মুর্শিদাবাদ সহ উত্তরবঙ্গে যাতায়াতের অন্যতম রাস্তা এটি। অথচ দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই রাস্তা বেহাল হয়ে থাকলেও তা মেরামতের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বর্ধমান রেল ওভারব্রিজ থেকে নামার পর থেকেই বেহাল রাস্তার শুরু। বাজেপ্রতাপপুর থেকে শুরু করে দেওয়ানদিঘী পর্যন্ত রাস্তার বেশিরভাগ অংশই ভেঙেচুরে একাকার হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও ভাতাড় বলগোনা থেকে শুরু করে কাটোয়া পর্যন্ত রাস্তার অনেক অংশই বেহাল। পিচ উঠে পাথর সরে কঙ্কালসার অবস্থা বেরিয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, করোনার কারণে সংস্কারের কাজে দেরি হচ্ছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, বর্ধমান কাটোয়া রোডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ভার্চুয়াল বৈঠকে রাস্তা তৈরির কাজে এই জেলা পিছিয়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত পড়বে বলে আশা করেছিলেন বাসিন্দারা।কিন্তু এখনও তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।গাড়ি চালকরা বলছেন, এই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা দায় হয়ে উঠেছে। গর্তে চাকা পড়ে যন্ত্রাংশ ভেঙে যাচ্ছে। চাকা ভেঙ্গে গাড়ি রাস্তায় বিকল হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দারা বলছেন, বেহাল রাস্তার কারণে ছোট বড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। অবিলম্বে এই রাস্তা সরানো না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা বড় বড় দিঘিতে পরিণত হচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় জল জমে থাকছে। কয়েক মাস আগে কিছু এলাকা থেকে জল সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন রাস্তা সংস্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবে সে কাজ আর এগোয়নি।