২১ দিনের লকডাউন। অন্য সব প্রয়োজন ছেড়ে ঘরে থাকলেও পেট চালানোর রসদও তো চাই। লক্ষ্মনরেখা পার করে বাড়ির বাইরে পা রাখলে আবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতি খুলেছে রেশন দোকান। মিলছে এক সঙ্গে কয়েক সপ্তাহের রেশন। তা দেখে রেশন নিতে বের হলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে হুড়োহুড়ি নয়। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইন দিয়েও নয়। বাসিন্দারা লাইনে দাঁড়ালেন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে। দাঁড়ালেন এমন ভাবে যাতে একজনের থেকে অন্য জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত না হয় সেই কথা মাথায় রেখে। সেই জন্য রোদ মাথায় নিয়ে তাঁরা লাইন দিলেন রাস্তাতেই। তবে দূরত্ব চিহ্নিত করতে চক দিয়ে গোল দাগ দিয়ে রাখলেন। বুধবার এমনই ছবি দেখা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুলের পুতুন্ডা গ্রামে।
advertisement
এই ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা বলছেন, করোনার মোকাবিলায় যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখাচ্ছে অখ্যাত গ্রাম পুতুন্ডা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই পদ্ধতি জেলার সর্বত্র মডেল হওয়া উচিত। শহর এলাকায় এমনিতেই ভিড় বেশি। তাই সেই এলাকায় বাসিন্দাদের সচেতনতার পাঠ দিচ্ছে পুতুন্ডা গ্রামে রেশনের দোকানের বাইরের এই ছবি। গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, দেশ আজ কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চলছে। আমাদের সামান্য অসাবধানতা কোটি কোটি মানুষের সংযমকে বিফলে পাঠিয়ে দিতে পারে। তাতে আমরা তো সপরিবার মারা পড়বই, দেশ কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু মিছিল দেখবে। সেই ছবি যাতে দেখতে না হয় তা নিশ্চিত করতেই সকলকে সচেতন থাকা জরুরি।