TRENDING:

বুলবুলের ক্ষত এখনও শুকোয়নি ! আসছে আমফান ! আতঙ্কে রয়েছে ফেজারগঞ্জের মানুষ !

Last Updated:

আমফানের ভয়ে ভীত হয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুনি দ্বীপ, জি -প্লট, রাক্ষসখালির মতো অঞ্চলগুলো।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
 #ফ্রেজারগঞ্জ: আমফানের ভয়ে ভীত হয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুনি দ্বীপ, জি -প্লট, রাক্ষসখালির মতো অঞ্চলগুলো। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ কিংবা ২০শে মে রাতে  সমুদ্র উপকূল বর্তী  এইসব অঞ্চল গুলির উপর ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আমফানের। এই মুহূর্তে উপকূল থেকে ৯০০কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শনিবার নিম্নচাপ ঘূর্ণি ঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলের দিকে বাংলা দেশের অভিমুখে এগোতে পারে।সেই সময় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।
advertisement

গত ৯ ই নভেম্বর রাত্রিবেলা বুলবুলের তান্ডব দেখেছিল ফ্রেজার গঞ্জ, মৌসুনি দ্বীপ, জি প্লট, রাক্ষসখালি । এইসব অঞ্চলে যেসমস্ত বড় বড় গাছ ছিল, সেগুলো সব দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে যায়। ফ্রেজারগঞ্জ অঞ্চল সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিদ্যুতের তার থেকে আরম্ভ করে ইলেকট্রিক পোস্ট মোবাইলের টাওয়ার সব ভেঙে চুরমার হয়ে গেছিল। সেই ক্ষত নিরাময় হতে না হতেই, শুরু হলো লকডাউন। লকডাউনের সময় এলাকার বহু মানুষ ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে কর্মহীন হয়ে আটকে পড়েছে। তাদের বাড়িতে দুবেলা ঠিকমতো খাবার জুটছে না। আবার আমফানের সর্তকতা। সময় যত এগিয়ে আসছে ততই সিঁদুরে মেঘ দেখছে অঞ্চলবাসীরা।  স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্য অনুযায়ী,সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ঝড়ের  ধাক্কা এবং তীব্রতা বড় বড় গাছগুলো আটকে দেয়। তাতে মানুষের বাড়ির ক্ষতি অনেকটা কম হয়। আরফান যদি বুলবুলের কাছাকাছি গতি নিয়েও আছড়ে পড়ে, তাহলেই ঘরবাড়িগুলো সব ধুলিস্মাৎ হয়ে যাবে। তখন ত্রাণ পাওয়া ছাড়া বেঁচে থাকার অন্য কোনও পথ খোলা থাকবে না।  বুলবুলে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর বিডিও নামখানার নির্দেশমতো ফ্রেজারগঞ্জ অঞ্চলের বিরাজ কোলে বিভিন্ন দোকান এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের খাদ্য সামগ্রী ত্রাণ হিসেবে জোগাড় করেন। সাড়ে সাতাশ লক্ষ টাকা ধার বাকি করে জোগাড় করে দেন। সেই টাকা এখনো পর্যন্ত ব্লক আধিকারিক মেটাননি।

advertisement

বিরাজ বাবুর স্পষ্ট কথা' আমফানে যদি বুলবুল এর মত ক্ষতি হয়, তাহলে আমরা আর ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারব না। এগিয়ে যাব না।কারণ যেসব জায়গা থেকে চাল ডাল সামগ্রী নেওয়া হয়েছিল । তারা  টাকা পায়নি এখনও। এই লকডাউনে সেইসব দোকানদারদের ওই টাকাটা খুব দরকার ছিল। সেই টাকার জন্য বিরাজ বাবুকে হেনস্তা হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।স্থানীয় বিডিওকে বারে বারে সেই টাকা চাওয়া সত্ত্বেও, টাকা দিচ্ছেন না।'  বিডিও নামখানা রাজীব আহম্মেদের সঙ্গে কথা বললে, তিনি জানান' কিছু টাকা ওরা পাবে। তবে অল্প অল্প করে টাকা দেওয়া হচ্ছে'।  বিরাজ বাবু আবার বলেন ' বিডিও সাহেবের কথা সত্যি নয়।আমি কোনও টাকা পাইনি।'  ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চাতের মানুষ আবার খুব আতঙ্কে রয়েছে। আবার যদি ঐ  ঝড় আছড়ে পড়ে,তাহলে ওই এলাকাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

SHANKU SANTRA

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বুলবুলের ক্ষত এখনও শুকোয়নি ! আসছে আমফান ! আতঙ্কে রয়েছে ফেজারগঞ্জের মানুষ !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল