বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন অগুনতি সিসি টিভি ক্যামেরা। হাসপাতালের আউটডোর, শিশু ওয়ার্ড, রাধারানী ওয়ার্ড, নিউ বিল্ডিং কিংবা এমারজেন্সি চত্ত্বর সর্বত্র সি সি টিভির ছড়াছড়ি। সর্বক্ষণ চলছে সি সি টিভিতে নজরদারি। রয়েছে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী ও পুলিশ। তা সত্ত্বেও হাসপাতালে পকেটমারি রোখা যাচ্ছে না। হাসপাতালে আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর দীর্ঘ লাইন রোগীদের। হাতে প্রেসক্রিবশন এক্স রে প্লেট সামলাতে ব্যস্ত রোগী বা তাঁর আত্মীয় পরিজন। তারই মধ্যে ব্যাক পকেট থেকে মানি ব্যাগ হাওয়া। বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনে রয়েছে মাথায় আচ্ছাদন দেওয়া বিশ্রামাগার। সেখানে সময় কাটান রোগীর আত্মীয়রা। একটু অসতর্ক হলেই পাশে থাকা ব্যাগ পত্র নিয়ে চম্পট দিচ্ছে কেপমাররা।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, একান্ত নিরুপায় হয়েই রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের সতর্ক করতে ঘন ঘন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে প্রচার চালাতে হচ্ছে।
advertisement
পকেটমার হইতে সাবধান তো বলা হচ্ছেই। বলা হচ্ছে, মহিলারা যাঁরা সাইড ব্যাগ ব্যবহার করেন, তাঁরা সাইড ব্যাগটি শরীরের সামনের দিকে রাখুন। তা না হলে ব্যাগের ভেতরে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান সামগ্রী খোয়াতে হতে পারে। বুঝুন কান্ড! এখানেই শেষ নয়, ঘোষনায় বলা হচ্ছে, যদি কেউ চিকিৎসার জন্য রসিদ ছাড়া টাকার দাবি করে বা কেউ সরকারি আর্থিক সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা চায়, বুঝবেন তিনি প্রতারক। তৎক্ষনাৎ আশপাশের লোকেদের সাহায্য নিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিন। তাতে আপনি, অন্যান্য রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পাবেন।
সব মিলিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যে চোর কেপমার পকেটমারদের মুক্তাঞ্চলে পরিনত হয়েছে তা মাইকে বার বার ঘোষণা থেকেই পরিষ্কার।