প্রাথমিকভাবে অনুমান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গেটের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাটি বিকল হয়ে পড়ে। গেট নীচে নামানো অবস্থাতেই রয়ে যায়, ফলে রাস্তায় আটকে পড়ে বহু যানবাহন ও পথচারী। একদিকে বন্ধ রেলগেট, অন্যদিকে অপেক্ষারত বাস, বাইক, সাইকেলে মাানুষের চরম দুর্ভোগের চিত্র ফুটে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের চাঁপাপুকুর রেলগেট এলাকায়। যানজট ও অনির্ধারিত বিলম্বে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: পড়ুয়ারা বানাচ্ছে ছোট্ট ছোট্ট মাটির বল! গড়বে সুন্দর ভবিষ্যৎ, কাজ জানলে কুর্নিশ জানাবেন
একপর্যায়ে কিছু পথচারী নিজেরাই রেলগেটটি হাত দিয়ে তুলতে শুরু করেন, যাতে আটকে থাকা গাড়িগুলো পার হতে পারে। এই উদ্যোগ বিপজ্জনক হলেও উপস্থিত মানুষের কাছে সেটাই ছিল একমাত্র উপায়। ফলে রেলগেটের নীচ দিয়ে নির্বিচারে গাড়ি চলাচল শুরু হয়—বিপদের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। তড়িঘড়ি রেলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং রেলগেট ম্যানুয়ালভাবে তুলে যান চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এর কিছুক্ষণ পর গেট মেরামতের কাজ শুরু হয়। অনেকেই রেলের গাফিলতির কথা তুলে ধরে বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি লেভেল ক্রসিং-এ সার্বক্ষণিক গেটম্যান থাকা দরকার। শুধু প্রযুক্তির উপর নির্ভর করলে নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, জরুরি পরিষেবা এবং যান চলাচলের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে, এমন লেভেল ক্রসিং-এ আধুনিক ও রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক বলে মত অনেকের।
জুলফিকার মোল্যা





