বৃষ্টি হলেই জলে ডুবে যাওয়াই ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট লাগোয়া এই পার্কাস রোডের। হাঁটু সমান জল ভেঙেই সবাইকে যাতায়াত করতে হয়। এই রাস্তা থেকে বের হওয়া এক ও দু নম্বর পাকমারা গলির অবস্থা আরও ভয়াবহ। এখানে জল দাঁড়িয়ে থাকে কোমর সমান। কোথায় নর্দমা আর কোথায় রাস্তার খানাখন্দ তা বোঝার কোনও উপায় নেই। সেই কোমর সমান জলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। কোনও রকমে যায় মোটর সাইকেল, মালবাহী গাড়ি।
advertisement
দোকান ঘরে জল ঢুকে সব সামগ্রি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির মেঝে কয়েক ফুট জলের তলায়। বাসিন্দারা বলছেন, নিকাশি সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে বহুবার পুরসভায় আবেদন করা হয়েছে। বাম তৃণমূল কোনও আমলেই কারও টনক নড়েনি। এ সমস্যা থেকে নিস্তার নেই ধরেই নিয়েছেন বাসিন্দারা। একই অবস্থা সুভাষপল্লী, দুবরাজ, লক্ষ্মীপুর মাঠ, ইন্দ্রপ্রস্হ লাগোয়া এলাকার।
বর্ধমান শহর গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। একের পর এক জলাশয় বুঝিয়ে তৈরি হয়েছে কংক্রিটের জঙ্গল। জল বের হওয়ার পথ হারিয়ে গিয়েছে। তার ওপর গড়ে ওঠেনি সুষ্ঠ নিকাশি ব্যবস্থা। যে নর্দমাগুলি রয়েছে সেগুলিও বর্ষার আগে সেভাবে সংস্কার করা হয় না। আবর্জনা জমে সেগুলি জল বয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে। তার জেরে এক পশলা বৃষ্টিতে নদীর রূপ নিচ্ছে রাস্তা। বাসিন্দারা বলছেন, অনেক আগেই বর্ধমাান শহরে নিকাশি ব্যবস্থার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে তা বাস্তবায়িত করা উচিত ছিল। সে কাজ না হওয়াতেই এই বিপত্তি।