#সাঁকরাইল : NO NRC, NO CAA এই দাবিতে আন্দোলনকারীরা পুড়িয়ে দিয়েছেন সাঁকরাইল রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার। ফলে টিকিট ছাড়াই সাকরাইল স্টেশন থেকে বিনা টিকিটে যাওয়া আসা করছেন যাত্রীরা। এই অবধি ব্যাপারটা ঠিকই ছিল। কিন্তু আচমকা দেখা গেল পোড়া টিকিট কাউন্টারের ছবি তুলছেন রেল যাত্রীরা। কিন্তু কেন? শনিবার দুপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর বহু মানুষকে দেখা গিয়েছিল স্টেশন চত্বরে।
advertisement
সেই সময় তারা ঘটনাস্থলে ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে বোঝা যাচ্ছিল যারা ছবি তুলছে তারা ঘটনাটা মোবাইল বন্দী করে রাখতে চান। কিন্তু দুদিন পরে যাত্রীদের অনেকেই ব্যস্ততার মাঝেই পোড়া টিকিট কাউন্টারে ছবি তুলতে তাড়াহুড়ো করছেন। অফিসে লেট হবার কিংবা ট্রেন মিস করার ভয়ের মাঝেও একটা করে ছবি তুলছেন। দু একজন কে রকম করতে দেখে অনেকেই একই কাজ করে চলেছেন। এইরকম এক যাত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, খড়গপুর যাব। স্টেশনে ঢোকার সময় লোকের মুখে শুনে আমিও পোড়া সাঁকরাইল স্টেশনের ছবি তুলেছি। কারণ গন্তব্য স্থলে যদি টিকিট পরীক্ষক ধরেন তাহলে সেই ছবি দেখাবো। স্টেশন থেকে কোন ভাবেই টিকিট কাটা সম্ভব হয়নি। ফাইন দেওয়ার হাত থেকে এটা একটা সমাধান।
আরেক নিত্য যাত্রী বলেন, মাসিক টিকিটের মেয়াদ শেষ। তাই ছবি তুলে রাখলাম। অফিস থেকে ফেরার সময় হাওড়ায় মাসিক টিকিট কেটে নেব। এই নিয়ে সাঁকরাইল স্টেশন মাস্টার আচ্ছা জানান, সমস্ত দফতরকে জানানো আছে। আপাতত টিকিট কাউন্টার নতুন করে তৈরি করতে সময় লাগবে। পুরো টিকিট কাউন্টার টাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শনিবারের ঘটনার পর রোববার থেকে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকে সাঁকরাইল স্টেশনের পরিবেশ। নষ্ট হয়ে যাওয়া প্যানেল রুম সারিয়ে তোলা হয়। ঘোষণা করার যন্ত্রটিও ঠিক করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়ন করা হয় আরপিএফ।
এক অফিসার জানান, এমনি সময় সাঁকরাইল স্টেশনের আরপিএফ থাকেন। ঘটনার পর থেকে পালা করে 5 জন আরপিএফ স্টেশন চত্বর পাহারা দেবেন। এরমাঝেই ভেঙে যাওয়া লেভেল ক্রসিং জায়গায় অস্থায়ীভাবে ম্যানুয়াল লেভেল ক্রসিং লাগানো হয়। পুড়ে যাওয়া সমস্ত সামগ্রী থেকে খুঁজে বের করা হয় বেঁচে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি। না পোড়া কিছু টিকিটের বান্ডিল। শনিবারের আতঙ্ক ভুলে চেনা ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে সাঁকরাইল স্টেশন। যাত্রীরাও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন থেকে যাতায়াত শুরু করেছেন।
আরও দেখুন