আরও পড়ুন- ‘আমি নেব ওকে!’ ‘না, আমি!’ এক স্ত্রীকে নিয়ে কাড়াকাড়ি ২ স্বামীর! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম রাধানগর গ্রামে জন্ম হেমচন্দ্র কানুনগোর। তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি বিদেশে গিয়ে অস্ত্রশিক্ষা ও বোমা তৈরি কৌশল শিখেছিলেন, তেমনইদাবি করেন গবেষকেরা। বিপ্লবী হেমচন্দ্র ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিল্পী। তবে এই হেমচন্দ্র কানুনগোই একসময় সামলেছেন জমিদারিত্ব। ক্ষেত্রমোহন দাস কানুনগো অর্থাৎ বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর বাবা ছিলেন তৎকালীন সময়ের এক প্রখ্যাত জমিদার। ক্ষেত্রমোহন দাস কানুনগো ওড়িশার খুড়দা এলাকার জমিদার ছিলেন। পরে তিনি চলে আসেন খাকুড়দাতে। এখানে এসেও প্রতিষ্ঠা করেন জমিদারিত্ব। তৎকালীন সময়ে নারায়ণগড় ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল দাস-কানুনগো জমিদারের অধীনে।
advertisement
আরও পড়ুন- কলা খাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে ভুলেও খাবেন না ‘এই’ জিনিস! চরম বিপদ, ভাবতেও পারছেন না!
বাবার পরবর্তীতে জমিদারিত্ব সামলেছেন হেমচন্দ্র। বিভিন্ন খাজনা রশিদে এখনও তার স্বাক্ষর মেলে। পরবর্তীতে দেশের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করায় জমিদারিত্বের দায়িত্ব অর্পণ করেন তার স্ত্রী শরৎ কুমারী দেবীর উপর। তিনি বেশ অনেকটা সময় সামলেছেন দাস কানুনগো পরিবারের জমিদারিত্ব। বাবার উত্তরসূরী হিসেবে পাওয়া এই জমিদারীত্ব অনেকটাই সাহায্য করেছিল বিপ্লবী আন্দোলনে।
প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম। এলাকা লোধা সম্প্রদায় অধ্যুষিত। তবে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গিয়ে অংশ নিয়েছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। বিপ্লবীদের শিখিয়েছেন বোমা তৈরির কৌশল। হয়েছে দ্বীপান্তর, কারাবাস। তবে বর্তমান দিনে প্রচারের আড়ালে অনালোকিত বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো। তবে সকলের অগোচরে বিপ্লবী হেমচন্দ্রের আর এক সত্ত্বা জমিদার হেমচন্দ্র কানুনগো।
রঞ্জন চন্দ