মৃত বধূর নাম হালিমা বিবি (২৬)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের খড়দত্তপাড়া এলাকায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে হালিমার শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। পাশাপাশি, শরীরেও প্রবল যন্ত্রণা হচ্ছিল। দ্রুত তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা করে অক্সিজেন দেওয়ার পরামর্শ দেন নার্সদের। কিন্তু অভিযোগ, রোগী ছটফট করলেও তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: তিলপাড়া ব্যারেজে চা-চপ-মুড়ি-ঘুগনি! ফাটল আতঙ্কের মাঝেই নতুন নতুন দোকান স্থানীয়দের, দেখুন
পরিবারের বক্তব্য, যদি সময়মতো অক্সিজেন দেওয়া হত, তাহলে হয়তো তাঁর প্রাণ রক্ষা করা যেত। মৃতার স্বামী বলেন, “ডাক্তারের গাফিলতির জন্য আমার স্ত্রী মরে গেল।” হালিমার দেওর ওলিউল্লা শেখ বলেন, “অক্সিজেন দিলে হয়তো বাঁচত। নার্সরা গল্প করছিল। আজ আমাদের হয়েছে, কাল অন্য কারও হতে পারে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যেই তাঁরা শুরু করেন বিক্ষোভ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানাবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এ বিষয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার জয়দ্বীপ মণ্ডল বলেন, “ঘটনাটি আমরা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”