প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন শিক্ষক। বাংলা বিষয় নিয়ে শিক্ষকতা করেছেন বিদ্যালয়ে। এরপর তিনি দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং পরে তিনি হন সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক হন।এরপর পুরুলিয়া জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পদে আসীন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।স্বাভাবিকভাবে কর্মব্যস্ত জীবন। শিক্ষা বিভাগে কাজ করার সুবাদে তিনি বেশিরভাগ সময়ে পড়াশোনার সঙ্গে কাটাতেন। তবে ছোট থেকেই তার বই পড়ার প্রতি শখ। সেই শখকে জিইয়ে রেখেছেন অবসরের পরেও। কর্মজীবনে লিখেছেন প্রায় চারটি বই। কর্মজীবনের পরে তার সর্বমোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১৭।কর্ম জীবন থেকে অবসরের পর নতুন জীবনে প্রবেশ করেছেন এই অবসরপ্রাপ্ত এই বিদ্যালয় পরিদর্শক।
advertisement
আরও পড়ুন – Couple or Family Friendly Park: বান্ধবী নাকি ফ্যামিলি কাকে নিয়ে যাচ্ছেন, ডেস্টিনেশন হোক এই পার্ক
জন্মসূত্রে তিনি জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি ঘুরেছেন জঙ্গলমহলে একাধিক জেলায়। কখনও পুরুলিয়া আবার কখনও অবিভক্ত মেদিনীপুরে দিন কাটিয়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি মেদিনীপুর শহরের স্থায়ী বাসিন্দা। প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় তিনি অবসর নিয়েছেন। তবে অবসর গ্রহণের পর আরও বেশি করে লেখালেখি করেন বই। তার লেখা বই লোকায়ত সংস্কৃতি, গ্রাম বাংলার রুচি, ভ্রমণ, এবং গবেষণাধর্মী। ঝাড়গ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে লিখেছেন বই যা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও জঙ্গলমহল কেন্দ্রিক একাধিক বই প্রকাশ করেছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগ গবেষণামূলক।
মেদিনীপুরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক মধুপ দে।কর্মজীবনে তিনি প্রাথমিক শিক্ষার নবপর্যায়, সর্বশিক্ষা অভিযান ও কিছু ভাবনা, বিদ্যালয়ে পরিদর্শনের ইতিহাস সম্পর্কে বই লিখেছেন। যা শিক্ষা বিভাগের কাছে এক সম্পদ। এরপর অবশ্য অবসর জীবনে তিনি মূলত ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রিক একাধিক বই প্রকাশ করেছেন। রয়েছে মেদিনীপুরের নানা কথা সম্পর্কিত বইও। রয়েছে উপন্যাস, প্রবন্ধ, এমনকি ভ্রমণ মূলক বই। সকাল থেকে সন্ধ্যা বই এর মধ্যেই সময় কাটে তার। চলে লেখালেখি। নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন পড়াশোনার সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবে অবসর জীবনে বার্ধক্য কোনওভাবেই গ্রাস করতে পারেনি তাকে। দিব্যি যুবদের মতচলছে তার দিন। আগামী যুব প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Ranjan Chanda