বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি জলের তলায়। দুঃশ্চিন্তায় কৃষকেরা।পুলিশ প্রশাসনের তরফে প্লাবিত এলাকায় সবরকম সরকারি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তৎপর মহকুমা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ঘাটালে গিয়ে সব ক’টি ব্লক ও পুরসভার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে টাউন হলে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। ঘাটালে যান জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। জানা গিয়েছে, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও তিন থানার আধিকারিকদের নিয়ে ঘাটাল থানায় একটি বৈঠক করেন পুলিশ সুপার। ঘাটালের বন্যা-পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের কী ভূমিকা? প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের জন্য কী কী কাজ পুলিশের তরফে চলছে? তা জানান জেলা পুলিশ সুপার।
advertisement
ঘাটাল মহকুমার সব ক’টি থানায় কমিউনিটি কিচেন, শুকনো খাবার বিতরণ, মানুষকে উদ্ধার করা ও প্রয়োজনে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ রান্না-করা খাবার থেকে উদ্ধারকাজ, এমনকী যেখানে পৌঁছনো অসম্ভব সেখানে গিয়েও পুলিশ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসছে। পাশাপাশি প্লাবিত এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে সচেতনতার প্রচার চলছে। পুলিশ সুপার জানান, ঘাটাল মহকুমায় পুলিশের ২১টি কমিউনিটি কিচেন চলছে, যেখানে রান্না-করা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি সেই খাবার দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্লাবিত ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সচেতনামূলক প্রচার চালাচ্ছে ঘাটাল থানা।
রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিশেষ দল গঠন করে দেওয়া হয়েছে যারা ঘাটাল পরিস্থিতিতে নজর রাখছে। সেচ দফতরের আধিকারিকরা রয়েছেন ঘটনাস্থলে। স্থানীয়দের খাবার, ওষুধ-সহ ত্রাণ সামগ্রী যথাযথ ভাবে পাঠানোর কাজ চলছে।