জেলায় জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকপদে চাকরি প্রার্থীরা আংশিক সময়ের বদলে পূর্ণ সময়ের শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ৷ বীরভূম, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, দিকে দিকে একই চিত্র ৷
মেধা তালিকায় নাম রয়েছে ৷ কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ৷ কিন্তু নিয়োগপত্রে পার্শ্ব শিক্ষকের পদ দেখে সেই নিয়োগ পত্র নিতে নারাজ চাকরিপ্রার্থীরা ৷ জেলায় জেলায় প্যারা টিচারদের আন্দোলন নিয়ে বিরক্ত শিক্ষামন্ত্রী ৷
advertisement
যারা রাজনৈতিক দাদাদের ধরে প্রাথমিকে চাকরি পায়নি, তারাই আন্দোলন করছে : পার্থ
এদিন সম্মেলন মঞ্চ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে শুরু হল নতুন জল্পনা ৷ ইতিমধ্যেই ৪২ হাজার প্যানেলভুক্ত পরীক্ষার্থীর অধিকাংশই নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন ৷
পরে প্রাথমিক শিক্ষকের বদলি নিয়ে প্রশ্ন করলে বিষয়টি ব্যাখা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রাথমিক শিক্ষকরা অনেকেই শূন্যপদ বেশি থাকার জন্য নিজের জেলা ছেড়ে অন্য জেলা থেকে আবেদন করেছিলেন ৷ কাউন্সেলিংয়ের পর আবেদন করা জেলার স্কুলেই পোস্টিং পেয়েছে ৷ এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, চাকরিতে যোগ দিয়েই অনেকে পোস্টিং বদলাতে চান ৷ তাতে অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় নিয়োগে ৷ সেই প্রবণতা আটকাতেই চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে শিক্ষকরা স্থিতু হওয়া পর্যন্ত বদলির আবেদন করা যাবে না ৷
একইসঙ্গে নব নিয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ‘কোনও দাদা বা বড় কাউকে’ ধরেও বদলি হবে না ৷
চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে বিক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী এদিন বলেন, ‘ ২২ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে, তার মধ্যে ৪২ হাজার চাকরি পেয়েছে। যারা পায়নি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের ওস্কাচ্ছে, তারাই আন্দোলন করছে ৷ যারা দাদাদের ধরেও পায়নি তারাই আন্দোলন করছে।’