বছর তিনেক আগে নদীর পাড়ে থাকা কংক্রিটের রাস্তার একাংশ চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। একমাত্র রাস্তার এমন হাল হওয়ায় বহুবার পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ, সমস্ত স্তরে দরবার করেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। অগত্যা জঙ্গলের রাস্তাই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা চার-পাঁচটি গ্রামের মানুষের।
আরও পড়ুনঃ লোনের নাম করে প্রতারণা! যুবককে ফোন করে ডাকলেন প্রতারিতরা! তারপর? সোদপুরে শোরগোল
advertisement
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলমুড়ি থেকে শ্রীরামপুর কলোনি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার উপর নির্ভরশীল স্থানীয় ধগড়িয়া, সাবানপুর, শ্রীরামপুর কলোনি সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের যাতায়াত থেকে শুরু করে অন্যতম কৃষিপ্রধান ওই এলাকার উৎপাদিত কৃষিজাত সামগ্রী বাজারজাত করার বিষয়ে এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বছর পাঁচেক আগে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে কানা নদীর পাড় দিয়ে থাকা সেই কাঁচা রাস্তাই পাকা করা হয়। কিন্তু ২০২২ সালে কানা নদীর বন্যায় সেই কংক্রিটের রাস্তার একাংশ ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়। রাস্তা স্থানীয় নদীতে গিয়ে শেষ হয়ে যাওয়ায় পার্শ্ববর্তী ভাঙাচোরা কাঁচা জঙ্গল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় ধগড়িয়া, সাবানপুর, শ্রীরামপুর কলোনি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
আরও পড়ুনঃ কেরালায় বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু! হাত-পা বাঁধা…! পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ
স্থানীয়দের দাবি, কানা নদীর পাড় না বাঁধিয়ে অপরিকল্পিতভাবে ওই কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করার ফলেই রাস্তাটির এমন হতশ্রী অবস্থা হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদে বারবার আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, শাসকদল রাস্তার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির দাবি বিষয়টি তাঁদের নজরেও এসেছে। দ্রুত ওই রাস্তা মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।