আরও পড়ুনঃ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ! তদন্ত শুরু ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশের
পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত কেশাপাট এলাকার মাত্র ১২ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণীর কৃষ্ণেন্দু দাস চিপস চুরির অপবাদ সইতে না পেরে জীবন শেষ করার চরম সিদ্ধান্ত নেয়। ওই ঘটনায় আড়োলন পড়ে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু বয়সন্ধিতে শুধু কৃষ্ণেন্দু নয় বহু পড়ুয়া চরম সিদ্ধান্তের পথ কেন বেছে নেয় এ প্রশ্নের উত্তর দিল মনোবিদরা। মনোবিদদের অভিমত। এর জন্য কিছু অবস্থা থেকেই অভিভাবকদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার কথা বললেন। বলা ভাল একটি শিশু বেড়ে ওঠার সময় কোনও কিছুর অভাব বোধ করানোটা সবচেয়ে জরুরী। বর্তমান সময়ে শৈশবে একটি শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে।
advertisement
বিশেষ করে বর্তমান সময়ে শিশু অবস্থা থেকেই তারা যা চায় তাদের অভিভাবক সেটা দিয়ে দেয় ফলে কোন কিছুর অভাব তারা বুঝতে পারে না। ফলে তাদের মধ্যে ফাস্ট্রেশন টলারেন্স বিল্ড আপ হয় না ফলে একটা সময় এমন দেখা যায় কোনও কিছুর না পাওয়ার অভাব বয়ঃসন্ধিতে বড় প্রভাব ফেলে। বয়ঃসন্ধিতে উত্তীর্ণ হওয়া ওই শিশুটি সামান্য অপবাদ সামান্য না পাওয়া বা সামান্য অপমানেই ভেঙে পড়ে। তাই শিশু অবস্থা থেকে ফাস্ট্রেশন টলারেন্স বিল্ট আপে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে তমলুকের প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অলোক পাত্র জানান, ‘পাঁশকুড়ার ক্ষেত্রে কৃষ্ণেন্দু দাসের ফাস্ট্রেশন টলারেন্স বিল্ড আপ না হওয়ায় এরকম চরম সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছে। তাই সামান্য অপবাদে বয়ঃসন্ধিতে ভেঙে পড়ে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে।’
ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা যা চায় তা পেয়ে গেলে ফাস্ট্রেশন টলারেন্স বিল্ডআপ হয় না। যার প্রভাব বয়ঃসন্ধিতে মারাত্মকভাবে পড়ে। পাঁশকুড়ার বয়ঃসন্ধিতে ছাত্রের চরম সিদ্ধান্ত নিতে এই ঘটনা কাজ করেছে।’ ফলে মনোবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন ছোটবেলা থেকেই শিশুদের সবকিছু হাতে তুলে দেবেন না। কিছুটা না পাওয়ার অভাব বোধ তাদের মধ্যে তৈরি করুন।
সৈকত শী