TRENDING:

রাজ্যের একমাত্র ফুল রাখার হিমঘর সংস্কারের অভাবে অকেজো! সংরক্ষণ নিয়ে চিন্তা, চাষিদের পকেটে বাড়তি চাপ

Last Updated:

Flower Cold Storage : শীতকালীন ফুল চাষ শুরু হয়েছে। কিন্তু সরকারি হিমঘর বেহাল থাকায় চিন্তিত চাষিরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পাঁশকুড়া, সৈকত শী : শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে। শীতকালীন ফুল চাষ শুরু হয়েছে। ফুল চাষ শুরু করলেও, ফুল চাষিরা হিমঘর নিয়ে চিন্তিত। ফুল চাষিরা অতিরিক্ত খরচে বেসরকারি হিমঘরে ফুল সংরক্ষণ করছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়াকে চেনা যায় ফুল দিয়ে। পাঁশকুড়ায় সারা বছর দোপাটি, গাদা ও রজনীগন্ধা সহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করেন কৃষকেরা। শীতের সময় অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় চন্দ্রমল্লিকা। এই চন্দ্রমল্লিকা দেশে-বিদেশের বাজারে রফতানি করা হয়। চন্দ্রমল্লিকা চাষ করে মুনাফা লাভ করেন কৃষকেরা। কিন্তু সরকারি হিমঘরের বেহাল অবস্থা চিন্তায় ফেলেছে ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত থাকা কৃষকদের।
advertisement

পাঁশকুড়া ব্লকের প্রায় ২৫০০ হেক্টর জমিতে চন্দ্রমল্লিকা চাষ হয়। ফুলের উজ্জ্বলতা ও বড় আকার আনতে সারারাত বাগানে আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। ফলে একদিকে যেমন এই চাষে কীটনাশক থেকে সারের খরচ ছাড়াও অন্য খরচ বাড়ে, তেমনই ওই ফুল বিক্রি করে ভাল লাভের আশা রাখেন চাষিরা। আর সেই কাজের জন্য প্রয়োজন হিমঘরের। পাঁশকুড়ার সরকারি হিমঘরে এক লাট ফুল রাখতে খরচ হয় মাত্র ৫০ টাকা। কিন্তু সেটি খারাপ থাকায় বেসরকারি হিমঘরে ফুল রাখতে খরচ হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এর কারণেই বছরের সেরা ব্যবসার সময় হিমঘর খারাপ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন পাঁশকুড়ার ফুল চাষি থেকে ব্যবসায়ীরা।

advertisement

আরও পড়ুন : ৪০ মঞ্চে শতাধিক বিগ্রহ, দেখতে উপচে পড়া ভিড়! ঐতিহ্য ধরে রেখে জমজমাট দশগ্রামের রাস উৎসব

এ বিষয়ে সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়েক জানান, রাজ্যের একমাত্র ফুল রাখার জন্য হিমঘর রয়েছে পাঁশকুড়ায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই হিমঘর বেহাল অবস্থায়। অর্থ বরাদ্দ হলেও কাজ হয়নি। শীতকালীন চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। এই চন্দ্র মল্লিকা ফুলচাষ করে  ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভ ঘরে তোলে। কিন্তু হিমঘর বেহাল অবস্থায় থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত থাকা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। পাঁশকুড়ার এক ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী জানান, হিমঘর না থাকায় বেশি দামে বেসরকারি হিমঘরে ফুল মজিদ করতে হচ্ছে। ফলে লাভের অংক অনেকটাই কমে যাচ্ছে। সরকারি হিমঘর দ্রুতই সংস্কার করা দাবি জানিয়েছেন তিনি।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
রাজ্যের একমাত্র ফুল রাখার হিমঘর সংস্কারের অভাবে অকেজো, চাষিদের চিন্তায় ঘুম নেই
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত, হিমঘর সারাতে অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। সেই টাকা চলতি বছর জুলাই মাসে পূর্ত দফতরে হস্তান্তরিতও হয়েছে। এর পরে প্রায় চার মাস হলেও সারানোর কাজ শুরু হয়নি পাঁশকুড়ার ফুলের বাজারের হিমঘরের। ফলে শীতের মরশুমে চন্দ্রমল্লিকা সংরক্ষণ নিয়ে রীতিমত দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকার ফুল চাষিরা। যদিও জেলা পূর্ত বিভাগের দাবি, নভেম্বরের মধ্যেই চালু হবে হিমঘর সারানোর কাজ। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে পাঁশকুড়ার ফুল বাজারটি সাজিয়ে তোলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধুমাত্র হিমঘর সারানোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১০ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা। তাই দ্রুত সরকারি হিমঘর মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
রাজ্যের একমাত্র ফুল রাখার হিমঘর সংস্কারের অভাবে অকেজো! সংরক্ষণ নিয়ে চিন্তা, চাষিদের পকেটে বাড়তি চাপ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল